বিগত ১৬ বছর অবৈধ সরকারের লুটপাট থেকে বঞ্চিতরা খুলনায় ভাঙচুর ও লুটপাট করছে। শান্তিপ্রিয় খুলনাকে অশান্ত করার অপচেষ্টা করছে। বিএনপি জনগনের দল; জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া বিএনপির কাজ। তাই বিএনপি সকল নেতাকর্মীকে পাশে থেকে জনগণের ও রাষ্ট্রের সম্পদ রক্ষা করার আহবান জানিয়েছে খুলনা বিএনপির নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন এ বিজয় ছাত্র জনতার বিজয়।

সোমবার (৫ আগস্ট) রাত ৮টায় দলীয় কার্যালয়ে প্রেসব্রিফিং এ নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। প্রেসব্রিফিং এ নেতৃবৃন্দ বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনে নিহত সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে যারা আহত হয়েছে এখনো হাসপাতালে রয়েছে তাদের সুস্থতা কামনা করেন। যে সমস্ত জাতীয় নেতৃবৃন্দ, শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, ছাত্র-জনআন্দোল গ্রেফতার হয়েছেন তাদের মুক্তি দাবি করেন। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দ্রুত মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিসহ খুলনা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, ছাত্রদলের আহবায়ক ইস্তিয়াক আহমেদ ইস্তি, বিএনপি নেতা আনস্রা আলী, কৃষকদলের আহবায়ক সজীব তালুকদারসহ জেলা ও নগরের ৬৪জন নেতাকর্মীর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন। এছাড়াও স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা পতনের আন্দোলনে যারা গ্রেফতার হয়েছেন এবং যত মামলা হয়ে তা প্রত্যাহার করে সকলের মুক্তি কামনা করেন। শেখ হাসিনা সরকারের আমলে বিনাভোটে যারা জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন, সম্পদ লুট করেছে অবিলম্বে তাদেও গ্রেফতারের দাবি জানান। একই যারা খুলনা ক্লাব, খুলনা প্রেসক্লাব, কেডিএস, বাস ট্রাক টার্মিনাল, খুলনা চেম্বার অব কর্মাসসহ সামাজিক ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান দখল করে আছে তাদের গ্রেফতারের দাবি জানান।

প্রেসব্রিফিং এ (৬ আগস্ট মঙ্গলবার) বেলা ১১টা থেকে প্রতিদিন নগরীর ডাকবাংলো সোনালী ব্যাংকচত্ত্বরে বিএনপি, সাংবাদিক, শিক্ষক, আইনজীবী, বুদ্ধিজীবি, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ সকল শ্রেনী পেশার মানুষদের নিয়ে বিজয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান।

প্রেসব্রিফিং এ লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন। এসময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা, জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খান, জেলা বিনপির সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পিসহ মহানগর ও জেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
#