বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রমিক বান্ধব। প্রধানমন্ত্রী শ্রমিকদের জন্য সবকিছু করে যাচ্ছেন। এ অঞ্চলের জুট মিলসগুলো বন্ধ হলেও প্রধানমন্ত্রী শ্রমিকদের খালি হাতে ফিরিয়ে দেননি। শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করা হয়েছে। এলাকায় শিল্প কলকারখানা গড়ে উঠবে এতে করে শ্রমিকদের সুদিন ফিরে আসবে। তিনি বলেন, সোনালী আঁশ পাটের সুদিন ফিরিয়ে আনতে চাই। এজন্য যা যা করা দরকার সবকিছু করা হবে।
তিনি শনিবার(১৮মে) খুলনায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণায়য়ের আওতাধীন জুট মিলসগুলো ও টেক্সটাইলস মিল পরিশর্দন শেষে গণমাধ্যমর্কীদের ব্রিফকালে একথা বলেন।
এর আগে তিনি বিজেএমসি নিয়ন্ত্রণাধীন দৌলতপুর জুট মিলস লি: প্লাটিনাম জুবলি জুট মিলস লি: ক্রিসেন্ট জুট মিলস লি: খালিশপুর জুট মিলিত লি: এবং বিটিএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন খুলনা টেক্সটাইল মিলস পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য এস এম কামাল হোসেন বিজেএমসির চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ, বিটিএমসির চেয়ারম্যান ব্রি. জেনারেল জিয়াসহ সংশ্লিষ্ট কর্তকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
দুপুরে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক খুলনা হোটেল সিটি ইন এ বাংলাদেশ জুট এসোসিয়েশন (বিজেএ) আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় বলেন, যেকোন মূল্যেই আমরা পাটের গৌরবময় সোনালী ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে চাই। পাটবীজের আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে আনতে হবে। দেশে ছয় হাজার মে.টন পাটবীজ প্রয়োজন। দেশে এক হাজার পাঁচশত মে. টন উৎপাদন হয়, বাকী সাড়ে চার হাজার বীজ ভারত থেকে আমদানি করতে হবে। ব্যাপকভাবে পাটবীজ উৎপাদনে কৃষকদের উৎসাহিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমি দায়িত্ব নেয়ার পর প্রধানমন্ত্রী ফ্রাষ্কফুর্টে পাঠালেন। আমাদের দেশের পাটপণ্যের ৫০ টি স্টল, ভারতের ২১টি স্টল। বিদেশে পাটপণ্যের বিপুল চাহিদা রয়েছে। কাঁচাপাট রপ্তানি করেও বড় অংকের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। প্রধানমন্ত্রী চান সোনালী আঁশের আভিজাত্য ফিরিয়ে আনতে। পাটচাষি, পাট ব্যবসায়ীদের প্রণোদনা দেওয়া দরকার। ব্যবসায়ীদের ঋণ পরিশোধের উদ্যোগ নেওয়া হবে। উৎস কর এক শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশ কমিয়ে আনতে সবার সাথে কথা বলা হবে।
বিজেএর চেয়ারম্যান মো. ফরহাদ আহমেদ আকন্দের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য এসএম কামাল হোসেন।
খুলনা গেজেট/এএজে