সোনাডাঙ্গা থেকে প্রবাসীর অপহৃত স্ত্রীকে চারমাস পর উদ্ধার ও এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। এছাড়া অপহৃতার কাছ নেওয়া স্বর্ণালঙ্কার জব্দ হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম আসামি মোঃ রুবেল হাওলাদার (৩৩)। তিনি বাগেরহাট সদরের বাশঁবাড়িয়া গ্রামের খলিল হাওলাদার ও তাহমিনা বেগম দম্পত্তির ছেলে।
সিআইডি জানায়, কেএমপির সোনাডাঙ্গা থানায় দায়েরকৃত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়েরকৃত মামলার (মামলা নং-৩৩, তারিখ-২৫/১০/২০২৩) সূত্র ঘটনাটি তদন্ত ও আসামীদের গ্রেপ্তারে কাজ শুরু করে সিআইডি পুলিশ। তারই ধারাবাহিতকায় সিআইডি খুলনা মেট্রো এন্ড জেলার অতিরিক্ত ডিআইজি শম্পা ইয়াসমীন’র নিদের্শনায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম গত ২২ ফেব্রুয়ারি গোপালগঞ্জ থেকে রুবেল হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে আদালতে হাজির করে দু’দিনের রিমাণ্ড নেন তদন্ত কর্মকর্তা। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদকালে আসামি মোঃ রুবেল হাওলাদার অপহরণ ঘটনার আদ্যপান্থ বর্ণনা করে।
রুবেল জানায় পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ইতালি প্রবাসীর স্ত্রীকে ২০২৩ সালের ০৫ অক্টোবর সন্ধ্যা অনুমান সাড়ে ৭টার দিকে অন্যান্য আসামীদের সহযোগিতায় একটি কালো রংয়ের মাইক্রোবাসে ভিকটিমের বাবার বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে চেতনানাশক ওষুধের মাধ্যমে অপহরণ করে। ভিকটিমকে প্রথমে ঢাকা মহানগরীর দক্ষিণখান থানাধীন আমতলা নোয়াপাড়া সাইমুদ্দিন রোড মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান এর মালিকানাধীন ভাড়া বাড়িতে আটকে রাখে। সেখানে ওই নারীকে ধর্ষণ করে। আসামির স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ওই দিন ঢাকাস্থ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান (৪৬) এর মালিকানাধীন ভাড়া থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়। ভিকটিমের ২০ ভরি স্বর্ণালোংকার আসামি স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ঢাকা ও বাগেরহাটের বিভিন্ন জুয়েলারি দোকান থেকে কিছু স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে।
সিআইডি খুলনা মেট্রো এন্ড জেলার অতিরিক্ত ডিআইজি শম্পা ইয়াসমীন বলেন, সিআইডি আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আসামীকে গ্রেপ্তারে সক্ষম হয়েছে। আসামীর স্বীকারোক্তি মতে অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে। একই সাথে কিছু স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি স্বর্ণলঙ্কার উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
খুলনা গেজেট/কেডি