কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ। ইকুয়েডরের বিপক্ষে বল দখলে আধিপত্য দেখালেও তেমন গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না আর্জেন্টিনা। মনে হচ্ছিল এদিনও বুঝি প্রথমার্ধ কাটাতে হয় কোনো গোল না করেই। তবে এদিন সেটি হতে দেননি অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার ও লিসান্দ্রো মার্টিনেজ জুটি। ম্যাচের ৩৬ মিনিটে পাওয়া কর্নার কিক থেকে জোড়া হেডে ইকুয়েডরের জালে বল জড়িয়েছেন মার্টিনেজ। ১-০ গোলের লিড নিয়ে স্বস্তিতে বিরতিতে গেছে আর্জেন্টিনা।
এদিন চোট শঙ্কা দূর করে ম্যাচের শুরুর একাদশেই মাঠে নেমেছেন লিওনেল মেসি। তার সঙ্গে আক্রমণভাগে রাখা হয়েছে দারুণ ছন্দে থাকা লাওতারো মার্তিনেজকে। দু’জনে অবশ্য তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেননি গোলের। প্রথমার্ধে নিজেদের রক্ষণে কড়া পাহারা বসিয়ে আর্জেন্টিনাকে আটকে রাখছিল ইকুয়েডর। তাতে কঠিন হয়ে উঠছিল গোল পাওয়া। তবে সেই কঠিন বাধা টপকে দলকে এগিয়ে দিয়েছেন মার্টিনেজ।
ম্যাচের ৩৫ মিনিটে এঞ্জো ফার্নান্দেজ গোলের উদ্দেশ্যে ডি বক্সে ঢুকে জোরাল শট নিলে সেটি বাধা পেয়ে কর্নার কিক পায় আর্জেন্টিনা। আর সেই কর্নার কিকটিই শেষ পর্যন্ত আর্জেন্টিনার জন্য হয়ে উঠে আশীর্বাদ। কর্নার কিকটি প্রথমে হেড করেন ম্যাক অ্যালিস্টার। তার হেড এক রকম গোলবারের আরেক পাশে দাঁড়িয়ে থাকা লিসান্দ্রো মার্টিনেজ পেয়ে যান একা। যা খুব সহজেই হেড দিয়ে জালে পাঠিয়ে দেন তিনি। আর্জেন্টিনা লিড নেয় ১-০ গোলে।
ইকুয়েডরের বিপক্ষে এ ম্যাচে ৪-৪-২ ফরম্যাশনে পরিকল্পনা সাজিয়েছে আর্জেন্টিনা। রক্ষণভাগে যথারীতি থাকবেন ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো এবং লিসান্দ্রো মার্টিনেজ। দুই ফুলব্যাক নাহুয়েল মলিনা ও নিকোলাস টালিয়াফিকো। গোলবারের নিচে যথারীতি এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। শুরুর একাদশে জায়গা হয়নি ডি মারিয়া ও জুলিয়ান আলভারেজের। ম্যাচে পরবর্তী সময়ে কারো বদলি হিসেবে তাদের নামানো হতে পারে।