ফুটবলের প্রায় সব রেকর্ডই নিজের করে নিয়েছেন লিওনেল মেসি। ক্যারিয়ারে অপূর্ণতা নেই কোনোরকম। তবুও লিওনেল মেসি ছুটছেন। চলতি কোপা আমেরিকায় একের পর এক সুযোগ পেয়েও মিস করেছেন এই ক্ষুদে জাদুকর। তাতে লিওনেল মেসির শেষও দেখে ফেলেছিলেন অনেকেই। বয়সের ভারে মাঠে নিজের সবটা দিতে পারেননি অনেকটা দিন ধরেই। মাংসপেশির ইনজুরিটাও বেশ ভুগিয়েছে বিগত কয়েক মাস।
এরপরেও সেমিফাইনালের আগে কোচ লিওনেল স্কালোনি জানালেন, শতভাগ ফিট থাকুন বা নাইই থাকুন, সেমিফাইনালে মেসি থাকবেন। তিনি ছিলেন। ম্যাচের ৫১ মিনিটে পেয়ে গেলেন এবারের আসরে নিজের প্রথম গোল। আর তাতেই আরও একবার রেকর্ডবুকে লেখালেন নিজের নাম। ফুটবলের ইতিহাসে জাতীয় দলের জার্সিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা এখন মেসি। ইরানের কিংবদন্তি আলী দাঈ-এর ১০৯ গোলের টালিতে ভাগ বসালেন এই আর্জেন্টাইন।
জাতীয় দলে ১৮৬তম ম্যাচে এসে ১০৯ গোল করলেন মেসি। তার সামনে এখন আছেন কেবল ১৩০ গোল করা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। আর এক গোল করলেই আলী দাঈকে ফেলে এককভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলের মালিক হবেন লা পুলগা।
কানাডার বিপক্ষে এই গোলের মধ্য দিয়ে ৩৮টি ভিন্ন ভিন্ন দেশের বিপক্ষে গোল করেছেন মেসি। প্রতিযোগিতামূলক খেলায় গোল পেয়েছেন ২১ টি ভিন্ন দেশের বিপক্ষে। আর ২০০৭ সাল থেকে এটি তার ৬ষ্ঠ কোপা আমেরিকায় গোল। কেবল ঘরের মাঠে ২০১১ সালে গোল পাননি এই আর্জেন্টাইন। কোপা আমেরিকায় তার গোল এখন পর্যন্ত ১৪। আছেন আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকার দ্বিতীয় স্থানে। তার ওপরে আছেন স্বদেশী নরবার্তো মেন্ডেজ এবং ব্রাজিলের জিজিনহো।
কানাডার বিপক্ষে ম্যাচেও গোল পেয়েছেন অনেকটা ভাগ্যের সহায়তা নিয়ে। জটলার মাঝে বল ক্লিয়ারে ব্যর্থ হন কানাডার রক্ষণভাগের খেলোয়াড়রা। ডিবক্সের মাথায় বল পেয়ে যান এনজো ফার্নান্দেজ। তার জোরালো শটে পা ঠেকিয়ে বলের দিক পরিবর্তন করেছিলেন এলএমটেন। তাতেই পেয়ে যান আসরের প্রথম গোল। কানাডার বিপক্ষেও ২ গোলের লিড পেয়ে যায় আর্জেন্টিনা।
খুলনা গেজেট/এনএম