পরপর দুই মাসে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও চট্টগ্রামের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল।
রাজধানীর বনানীর সেতু ভবনে সোমবার দুপুরে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মন্ত্রী জানান, দেশের প্রথম মেট্রোরেল এমআরটি লাইন-৬ এর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত অংশ উদ্বোধন হবে অক্টোবর মাসের মাঝামাঝিতে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর উদ্বোধন করবেন।
তিনি জানান, দেশের প্রথম ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের একাংশ যান চলাচলের জন্য প্রস্তুত। আগামী ২ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনের এক দিন পরই যানবাহন চলাচল করতে পারবে।
কাদের বলেন, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধন করা হবে আগামী ২৮ অক্টোবর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ টানেলের উদ্বোধন করবেন।
তিনি জানান, চার লেনবিশিষ্ট দেশের প্রথম এই টানেলে যানবাহন চলাচল শুরু সময়ের ব্যাপার। নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণকাজের অগ্রগতি প্রায় ৯৯ শতাংশ। বর্তমানে টানেলের ভেতরে টেকনিক্যাল নানা বিষয়ের কাজ চলছে।
চীনের সাংহাই শহরের আদলে বন্দরনগরী চট্টগ্রামকে ‘ওয়ান সিটি, টু টাউন’ মডেলে গড়ে তুলতে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার। এরই অংশ হিসেবে ২০১৫ সালে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়।
এই টানেল চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা প্রান্তকে আনোয়ারা উপজেলার সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। অর্থাৎ পতেঙ্গা হয়ে টানেলের ভেতর দিয়ে দক্ষিণ চট্টগ্রামের আনোয়ারা প্রান্তে চলে যাওয়া যাবে নিমেষেই।
তিন দশমিক ৩২ কিলোমিটারের টানেলে গাড়ি পারাপারে সময় লাগবে সাড়ে তিন মিনিট।
প্রথমে এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা। প্রথম সংশোধন প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে হয় ১০ হাজার ৪০০ কোটি টাকার মতো। উদ্বোধনের বছরে এসে তৃতীয়বার সংশোধনের অনুমোদন দেয়া হয়। এতে খরচ দাঁড়ায় ১০ হাজার ৬৮৯ কোটি ৭১ লাখ টাকা।
খুলনা গেজেট/এনএম