নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় খ্রিস্টান অপবাদ দিয়ে এক যুবককে মারধর করা হয়েছে। সেই সাথে তার বসতঘর পুড়িয়ে বাড়ি থেকে উচ্ছেদের হুমকির অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়নের সিলন মিয়ার জামে মসজিদের ইমাম মো. ফয়েজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী মো.সবুজ উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের ছাতারপাইয়া পশ্চিম পাড় গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে এবং অরাজনৈতিক আন্দোলন হেযবুত তওহীদের সদস্য।
এ বিষয়ে সেনবাগ থানায় অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার না পাওয়ায় বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) প্রতিকার চেয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভুক্তভোগী পরিবার নোয়াখালী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী সবুজ অভিযোগ করে বলেন, গত ১৬ এপ্রিল উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের সিলন মিয়ার জামে মসজিদের ইমাম মো. ফয়েজ উদ্দিনের নেতৃত্বে ২৫-৩০ জন লোক বাশেঁর লাঠি, লোহার রড় নিয়ে খ্রিস্টান মারো ইসলাম রক্ষা কর শ্লোগান দিয়ে আমার বাড়িতে আক্রমণ করতে যায়। এসময় আমাকে পথের মধ্যে মারধর করে। খবর পেয়ে আমার মা লাইলী বেগম আমাকে উদ্ধার করতে গেলে তারা আমার মাকেও মারধর করে।
তিনি আরও বলেন, এ সময় আমার মায়ের কাছ থেকে আমাকে নিয়ে যাওয়ার বিনিময়ে জোরপূর্বক ৫০ টাকা মূল্যের নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয় এবং আমার ব্যবহৃত মোবাইলটি ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় সেনবাগ থানায় অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার না পাওয়ায় আজকে সাংবাদিক সম্মেলন করেন বলে উল্লেখ করেন তিনি। এ সময় তিনি ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী এবং নিজ পরিবারের নিরাপত্তা দাবী করেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন পাটেয়ারী বলেন অভিযোগকারী ব্যক্তি এলাকায় তাদের সংগঠনের বই বিতরণ করে। এ সব বিষয় নিয়ে স্থানীয় লোকজন তাদের উপর ক্ষেপে আছে। অভিযোগ পেয়ে আমাদের এক কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সে সমস্যা সমাধান করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন>> ৬ বছরেও হয়নি সোনাইমুড়ির নৃশংস জোড়া খুনের বিচার
উল্লেখ্য, গত ২০১৬ সালের ১৪ মার্চ নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে হেযবুত তাওহীদের নির্মাণাধীন মসজিদকে গির্জা বলে গুজব রটিয়ে ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করে সংগঠনটির দুই সদস্যকে জবাই করে, চোখ উপড়ে, পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়।
খুলনা গেজেট/ এস আই