খুলনা, বাংলাদেশ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২২ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ডেঙ্গুতে একদিনের ৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১ হাজার ২১৪

সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ মাহমুদউল্লাহর, লড়াকু পুঁজি বাংলাদেশের

ক্রীড়া প্রতিবেদক

গত দুই ম্যাচের মতো আজও বাংলাদেশকে দুর্দন্ত শুরু এনে দেন সৌম্য সরকার। তবে এই ওপেনার ফেরার পরই পথ হারায় বাংলাদেশ। ১৮ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে তারা। এরপর পঞ্চম উইকেটে ১৪৫ রানের জুটি গড়েন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মেহেদি হাসান মিরাজ। দুর্দান্ত ব্যাটিং করেও সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে ফিরেছেন মাহমুদউল্লাহ। তবে তার ৯৮ রানের ইনিংসে ভর করেই লড়াকু পুঁজি পেয়েছে টাইগাররা।

সোমবার (১১ নভেম্বরে) শারজাহতে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৪৪ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৯৮ রান করেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তাছাড়া ফিফটি পেয়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজ।

সৌম্য সরকার নতুন বলে বেশ সাবলীল ব্যাটিং করেছেন। তার আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ৮ ওভার ১ বলে দলীয় ফিফটি স্পর্শ করে বাংলাদেশ। এমন শুরুর পর আরো একবার ইনিংস বড় করতে পারেননি সৌম্য। ৯ম ওভারে বোলিংয়ে ছিলেন ওমরজাই। এই পেসারের ওভারের তৃতীয় বলে বল স্টাম্পে টেনে এনে বোল্ড হয়েছেন সৌম্য। সাজঘরে ফেরার আগে ২৩ বলে ২৪ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে।

সৌম্য ফেরার পরের ওভারেই ফিরেছেন আরেক ওপেনার তানজিদ তামিম। এক প্রান্তে সৌম্য সাবলীল ব্যাটিং করলেও আরেক প্রান্তে বেশ ভুগেছেন তামিম। ইনিংসের প্রথম চার ওভারেই দুইবার জীবন পান তামিম। তারপরও ১৯ রানের বেশি করতে পারলেন না। ১০ম ওভারে মোহাম্মদ নবীকে কাভার–পয়েন্টের উপর দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে হাশমতউল্লাহ শাহিদিকে ক্যাচ দেন তিনি।

তিন বলের ব্যবধানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে দল যখন বিপদে তখন মিরাজের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে দলের বিপদ আরো বাড়িয়েছেন জাকির। সিরিজে প্রথমবার খেলতে নেমে রান আউটের শিকার হয়েছেন তিনি। ৪ রান করে জাকির ফেরায় ৫ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেই সমান ১১ রান করে এসেছিল তাওহিদ হৃদয়ের ব্যাট থেকে। ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খেতে থাকা এই মিডল অর্ডার ব্যাটার আজও ব্যর্থ হয়েছেন। এবার দুই অঙ্ক ছোঁয়ার আগেই সাজঘরে ফিরেছেন তিনি। ইনিংসের ১৫তম ওভারে প্রথমবার আক্রমণে আসেন রশিদ খান। এই লেগির টার্ন করা বলে ডিফেন্স করতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছেন হৃদয়। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৪ বলে ৭ রান।

৭২ রানে চতুর্থ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মেহেদি হাসান মিরাজ। এই দুজনে মিলে পঞ্চম উইকেট জুটিতে দলকে শক্ত ভিত গড়ে দিয়েছেন। দুজনেই ফিফটি করেছেন। মাহমুদউল্লাহ এই মাইলফলক ছুঁয়েছেন ৬৩ বলে, আর মিরাজের লেগেছে ১০৬ বল।

শেষ পর্যন্ত ১১৯ বলে ৬৬ রান করে আউট হয়েছেন মিরাজ। অধিনায়ক ফেরার পর উইকেটে আসেন জাকের আলি অনিক। গত ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা এই উইকেটকিপার ব্যাটার আজ সুবিধা করতে পারেননি। ২ বলে ১ রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।

১ বলের ব্যবধানে মিরাজ-জাকের ফেরার পরও বাংলাদেশের আস্থা হয়ে উইকেটে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। দুর্দান্ত ব্যাটিং করা এই অভিজ্ঞ ব্যাটার সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন। তবে কাছাকাছি গিয়েও মাইলফলক ছোঁয়া হয়নি তার। ইনিংসের শেষ বলে আউট হওয়ার আগে ৯৮ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে।

খুলনা গেজেট/এএজে




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!