খুলনা, বাংলাদেশ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪৫৮

সূর্যকুমারের ক্যাচ বিতর্ক নিয়ে এবার যা বললেন ধারাভাষ্যকার

ক্রীড়া প্রতিবেদক

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার জন্য শেষ ৬ বলে ১৬ রান দরকার ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। হার্দিক পান্ডিয়ার করা প্রথম বলটাকে উড়িয়ে মারেন ডেভিড মিলার, যা লং অফ বাউন্ডারি সীমানার কাছে দারুণভাবে লুফে নেন সূর্যকুমার। এতে স্বপ্ন ভেঙে যায় প্রোটিয়াদের।

ফাইনালে সূর্য বাউন্ডারিতে বল ধরে বুঝতে পেরেছিলেন দড়ির ও পারে চলে যেতে হবে। তাই বল আকাশে ছুড়ে আবার দড়ির এ পারে এসে ক্যাচ ধরেছিলেন। সেই ক্যাচই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেয়। কিন্তু সেই ক্যাচের ছবি দেখিয়ে অনেকের প্রশ্ন, বাউন্ডারির দড়ি কি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল? ছবিতে দেখা যাচ্ছে যেখানে বাউন্ডারির দড়ি রয়েছে, তার সামনে একটা সাদা দাগ রয়েছে। যেখানে বাউন্ডারির দড়ি থাকে, তার নীচে এই দাগ আপনিই তৈরি হয়ে যায়। কারণ সেখানে রোদ না পৌঁছনোয় ঘাসের রং বদলে যায়। যে হেতু বাউন্ডারি দড়ির নীচে এই দাগ তৈরি হয়, সেটি দেখা যাওয়ার কথা নয়।

বাউন্ডারির দড়ি একই জায়গায় থাকলে কী করে ওই দাগ দেখা গেল, এই প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। সমাজমাধ্যমে এক ব্যক্তি আঙুল তুলেছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের দিকে। সেই ব্যক্তি সূর্যের ক্যাচের ছবি পোস্ট করে খোঁচা দিয়ে লিখেছেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক তো ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডই ছিল।

কিন্তু যাবতীয় জল্পনার অবসান ঘটিয়েছেন এক ভারতীয় ধারাভাষ্যকার। তিনি জানিয়েছেন, যে হেতু ফাইনালে পিচ বদল হয়েছিল, তাই ওই প্রান্তের বাউন্ডারিও পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ম্যাচের শুরু থেকেই এটি করা হয়েছিল। সব ম্যাচেই প্রয়োজন মতো বাউন্ডারি ছোট-বড় করা হয়। এখানেও সেটিই করা হয়েছে। তাই আগের বাউন্ডারি দড়ি যেখানে ছিল, সেই দাগ দেখা যাচ্ছে।

তিনি লেখেন, আমি মাঠে ছিলাম। ধারাভাষ্য দিচ্ছিলাম। বাউন্ডারির দড়ি নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে না। গোটা ম্যাচেই দড়ি ওই জায়গায় ছিল। পিচ বদল হলে বাউন্ডারির দড়ির জায়গাও বদল হয়। এটাই স্বাভাবিক। সেই কারণে মাঠে অনেক সময়ই সাদা দাগ দেখতে পাওয়া যায়। গোটা মাঠেই দড়ির জায়গা বদল করা হয়েছিল। কোনো একটি বিশেষ জায়গার নয়। কোনো দলকে বাড়তি সুবিধা করে দেওয়ার জন্য এমন করা হয়নি। এটা নিয়ে বিতর্ক তৈরি করার কোনো মানে নেই।

সাধারণত মাঠে একাধিক পিচ তৈরি করা থাকে। যে পিচে খেলা হচ্ছে, সেই পিচ থেকে বাউন্ডারির দূরত্ব মাপা হয়। ফলে এক একটি পিচের ক্ষেত্রে বাউন্ডারির দূরত্ব বদল হয়। সেটা ঠিক করার জন্যই দড়ির জায়গা বদল করা হয়েছিল। সেটার দাগই দেখা যাচ্ছে সূর্যকুমার ক্যাচ নেওয়ার সময়।

সূর্যকুমার ম্যাচের যে সময় বুদ্ধি করে ক্যাচটি নিতে সফল হয়েছিলেন, তা অবিশ্বাস্য। ভারতীয় দলের ফিল্ডিং কোচ সেই ক্যাচ সম্পর্কে বলেছেন, অনেকেই সূর্যকুমারের ক্যাচটা নিয়ে জানতে চাইছেন। অনুশীলনে এ রকম ক্যাচ ও অন্তত ৫০টা ধরেছে। তবে ম্যাচের সময় সিদ্ধান্তটা ওরই ছিল। উপস্থিত বুদ্ধি এবং ক্রিকেট সচেতনতার উদাহরণ ওই ক্যাচ। বাউন্ডারির দড়ি কোথায় আছে, সে সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা ছিল সূর্যকুমারের। তাই ওকে ক্যাচটা ধরার সময় যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী দেখিয়েছে। নিজে লাইনের বাইরে চলে যাওয়ার ঠিক আগের মুহূর্তে বল শূন্যে ছুড়ে দিয়েছিল। আবার মাঠের মধ্যে পা দেওয়ার পর ক্যাচ সম্পূর্ণ করেছে। ওই মুহূর্তে ওটা সম্পূর্ণ সূর্যকুমারের সিদ্ধান্ত।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!