প্রথমবারের মতো আয়োজিত বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে নাজমুল একাদশ ও মাহমুদউল্লাহ একাদশ। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে ব্যাট হাতে খুব বেশি রান করতে করতে পারেনি নাজমুলের দল। নির্ধারিত ওভারের ১৭ বল বাকি থাকতেই ১৭৩ রানে অল আউট হয়েছে তারা। শিরোপা জিততে মাহমুদউল্লাহ একাদশের প্রয়োজন ১৭৪ রান।
দিনের শুরুতে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন মাহমুদউল্লাহ একাদশ। নাজমুল একাদশের হয়ে ইনিংস উদ্বোধন করতে নামেন সৌম্য সরকার ও সাইফ হাসান। আগের ম্যাচগুলোর মতো এই ম্যাচেও শুরুতেই উইকেট হারায় নাজমুলের দল। রুবেলের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৪ রান করতে পারেন সাইফ।
এরপর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে দেখে শুনে খেলছিলেন সৌম্য। কিন্তু হঠাৎ করেই তার চোখে সমস্যা দেখা দেয়। ঝুঁকি নিয়ে খেলা চালিয়ে যাওয়ার চেয়ে শুশ্রূষার জন্য সাজঘরে যাওয়াকে বেছে নেন এই বাঁহাতি ওপেনার। ফলে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে সাজঘরে ফিরে যান তিনি।
তার জায়গায় নেমে ধরে খেলার চেষ্টা করেন মুশফিক। মাত্র ১২ রানে তিনি আউত হওয়ার পর আবারো ব্যাট হাতে নামেন সৌম্য। কিন্তু বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি এই ওপেনার। দলের বিপদের সময় বিলাসী শট খেলে উইকেট দিয়ে আসেন নাজমুল হোসেন শান্তও। এর আগে তিনি করেন ৩২ রান। কোনো রান না করেই তাকে অনুসরণ করেন আফিফ হোসেন ধ্রুব।
মাত্র ৬৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারায় চলে যায় নাজমুল একাদশ। সেখান থেকে দলের হাল ধরেন ইরফান শুক্কুর ও তৌহিদ হৃদয়। দুজনে মিলে ষষ্ঠ উইকেটে গড়েন ৭০ রানের পার্টনারশিপ। এই দুজনের জুটি ভাঙেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ২৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন তৌহিদ। অন্য প্রান্তে সতীর্থদের যাওয়া-আসার মধ্যেও এক প্রান্তে রানের চাকা সচল রাখেন ইরফান।
মুশফিককে টপকে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রানের মালিক হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করে দলীয় ৭৫ রানে সাজঘরে ফেরেন ইরফান। ৭৭ বলের ইনিংসে তিনি ৮টি চার ও ২টি ছক্কা হাঁকান। শেষপর্যন্ত ৪৭.১ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে নাজমুল একাদশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৭৩ রান।
মাহমুদউল্লাহ একাদশের পক্ষে সুমন একাই শিকার করেন পাঁচটি উইকেট। এছাড়া রুবেল হোসেন দুটি এবং এবাদত হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ একটি করে উইকেট শিকার করেন।
খুলনা গেজেট/এএমআর