খুলনা, বাংলাদেশ | ৮ পৌষ, ১৪৩১ | ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে ঢাকার চিঠি গ্রহণ করেছে দিল্লি, নিশ্চিত করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী মুখপাত্র
  ২০২৫ সালে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছুটি ৭৬ দিন, একটানা বন্ধ ২৮ দিন
  চাঁদপুরে মালবাহী জাহাজ থেকে ৭ মরদেহ উদ্ধার ; মুমূর্ষু ১
  ঢাকা দক্ষিণের সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

সুবিচার পাওয়ায় গ্রাম আদালতে মামলার পরিমাণও বৃদ্ধি পাচ্ছে

বাগেরহাট প্রতিনিধি

বাংলাদেশের মানুষ যেকোন বিবাদে গ্রাম্য শালীস ব্যবস্থার উপর নির্ভর করত। কিন্তু বর্তমান সময়ে যারা শালীসদার বা শালীস-মীমাংসা করেন তারা অনৈকি সুবিধা প্রদানের জন্য বিভিন্ন পক্ষের কাছ থেকে টাকা গ্রহন করে থাকেন। যার ফলে সমাজে গ্রাম্য শালীসদারদের প্রতি আস্থা কমেছে। মূল আদালতে প্রচুর পরিমান মামলা করা শুরু করেছে মানুষ।

দেশের প্রতিটি আদালতে মামলার জট রয়েছে। তবে স্থানীয়দের ছোট খাট বিবাদ এখন ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হচ্ছে। প্রতিবছর গ্রাম আদালতে নিষ্পত্তি হওয়া মামলায় বিপুল পরিমান জনগণ উপকৃত হচ্ছে। দিন দিন গ্রাম আদালতে মামলার পরিমানও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে দেশের মূল আদালত গুলোতে মামলা জট কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত গ্রাম আদালত সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে ‘সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সমূহের অংশ গ্রহণে সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের আয়োজনে বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দিন ব্যাপি অনুষ্ঠিত এই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আ.ন.ম ফয়জুল হক। স্থানীয় সরকার বিভাগ, বাগেরহাটের উপ-পরিচালক দেব প্রসাদ পালের সভাপতিত্বে সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক খোন্দকার মোহাম্মদ রিজাউল করিম, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট খাদিজা আক্তারসহ জেলার ৬টি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, সাংবাদিক, ইউনিয়ণ পরিষদ চেয়ারম্যান ও এনজিও প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্পটি বাগেরহাটের চিতলমারী, ফকিরহাট, কচুয়া, মোংলা, রামপাল ও শরণখোলা উপজেলার ৪২টি ইউনিয়নে কাজ করছে। ৪২টি ইউনিয়নের গ্রাম আদালতে ২০১৭ সালের জুলাই মাস থেকে ২০২১ সালে জানুয়ারি পর্যন্ত ৭ হাজার ৬‘শ ১৬টি মামলা দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে ৭ হাজার ৫‘শ ৯টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। ১০৭টি মামলা চলমান রয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইউএনডিপি এবং বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় স্থানীয় সরকার বিভাগ মাঠ পর্যায়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

খুলনা গেজেট/ টি আই

 




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!