জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উন্নত, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে শপথ নিয়েছেন দেশবাসী। সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যুক্ত হওয়া সব মানুষকে শপথবাক্য পাঠ করিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এ শপথ করান সরকারপ্রধান। জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার পর দেশবাসীকে প্রধানমন্ত্রী শপথবাক্য পড়ান।
শপথ পড়ানোর সময় প্রধানমন্ত্রীর পাশে ছিলেন জাতির পিতার কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা। ওই সময় জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা শপথে অংশ নেন।
সমবেত জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বর্ণাঢ্য এ শপথ আয়োজন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও কণ্ঠ মেলান জাতীয় সংগীতে।
যা ছিল শপথে
‘সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের শপথ’ শিরোনামে প্রধানমন্ত্রীর পরিচালনায় শপথ বাক্যে পাঠ করা হয়, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে এক রক্তক্ষয়ী মুক্তিসংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বিশ্বের বুকে বাঙালি জাতি প্রতিষ্ঠা করেছে তার স্বতন্ত্র জাতিসত্তা।
‘আজ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং মুজিববর্ষের বিজয় দিবসে দৃপ্ত কণ্ঠে শপথ করছি যে, শহীদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না। দেশকে ভালোবাসব, দেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে সর্বশক্তি নিয়োগ করব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শে উন্নত, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলা গড়ে তুলব। মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের সহায় হোন।’
শপথে অংশ নিতে যুক্ত ছিলেন সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। দেশের সব বিভাগ, জেলা, উপজেলা স্টেডিয়াম এবং মহান বিজয় দিবসের জন্য নির্ধারিত ভেন্যুতে শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িক দেশের শপথ
বিভাগীয় স্টেডিয়াম থেকে ভিডিও কনফারেন্সে মূল অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে জাতীয় পতাকা হাতে শপথ নিয়েছেন সবাই। এর মধ্য দিয়ে পুরো বিশ্বকে উন্নত, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার পথে দেশের মানুষের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার বার্তা দেয়া হলো।
খুলনা গেজেট/ এস আই