বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে সরকারি খাল আটকে লবন পানি তুলে মৎস্য ঘের করছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। সুন্দরবন সংলগ্ন পূর্ব আমরবুনিয়া গ্রামের এ খালটি ‘চরের খাল’ নামে পরিচিত।
বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে কৃষি জমির ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে ২০১০ সালে বেসরকারি সংস্থা বিডিপিসি খালটি খনন করে দেয়। এতে নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নসহ গোটা উপজেলার প্রায় ২ হাজার কৃষি জমির মালিক ও কৃষক উপকৃত হন। কিন্তু ৫-৬ বছর ধরে খালটি বেদখল হয়ে আছে।
ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ২০২১ সালের ১ জুন খালটি ইজারা দেন ইউয়িনের চৌকিদার মো. ওয়াদুদ হাওলাদারের ছেলে সাইফুল ইসলামের নামে। সেই থেকে খালটি বন্ধ করে লবন পানি তুলে মাছ চাষ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় ভূক্তভোগী কৃষক সেলিম মাতুব্বর, হালিম শেখ, মহারাজ মল্লিক, আব্দুর রহমান খান, বেলায়েত মাতুবর জানান, ‘সুন্দরবন সংলগ্ন এ খালটি (চরের খাল) কৃষকদের প্রয়োজনে খনন করা হলেও তা ওয়াদুদ চৌকিদারের নেতৃত্বে প্রভাবশালীরা দখল করে মাছ চাষ করছে। খালটির দু’পাড়ে ৪ শতাধিক কৃষকের ২০০ একর জমি রয়েছে। মাছ চাষের কারনে বছরে একবার মাত্র আমন ধান ব্যাতিত অন্য কোন ফসল উৎপাদন করতে পারছেন না কৃষকেরা। খালটি উন্মুক্ত করা এখন সময়ের দাবি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইজারা গ্রহীতা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘খালটি ২০ হাজার টাকায় দুই বছরের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ইজারা নিয়ে দেড় বছর ধরে মাছ চাষ করছি। এখানে কখনোই লবন পানি তোলা হয়না। চেয়ারম্যানের নিকট থেকে নেওয়া লিখিত ইজারার মেয়াদ আরও ৬ মাস রয়েছে’।
ইউপি সদস্য মিলন তালুকদার বলেন, ২০ দিন পূর্বে স্থানীয় কৃষকদের দাবির প্রেক্ষিতে খালটি কেটে উন্মুক্ত করা হয়েছে। তার পরেও গ্রামপুলিশ মো. ওয়াদুদ শেখ নতুন করে সেখানে পুনরায় কাঠের বস্ক বসিয়ে আটকানোর চেষ্টা করছে।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বাচ্চু বলেন, ‘খালটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য শর্তসাপেক্ষে ২ বছরের জন্য ইজারা দেওয়া হয়েছে। মেয়াদ শেষ হলে উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
খুলনা গেজেট/ এসজেড