সুন্দরবনে বাঘের আক্রমণে ২০১৪ সালে নিহত হন সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী গ্রামের ইসলাম সরদার। এ ঘটনার সাত বছর পর তার ছেলে রেজাউল ইসলাম সরদারেরও প্রাণ গেল বাঘের আক্রমণে। শুক্রবার (১৪ মে) বিকেলে পশ্চিম সুন্দরবনের নোটাবেকি এলাকায় বাঘের আক্রমণে নিহত হন মৌয়াল রেজাউল (২৯) । রেজাউল ইসলাম চার সন্তানের জনক ছিলেন।
বনবিভাগ সূত্র জানায়, গত ৩ মে সকালে বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন থেকে পাশ নিয়ে রেজাউল ইসলামসহ কয়েকজন মৌয়াল মধু আহরণের উদ্দেশ্যে সুন্দরবনে যায়। শুক্রবার বিকেলে সুন্দরবন সাতক্ষীরার রেঞ্জের দক্ষিণ তালপট্টির নোটাবেকি এলাকায় মধু’র চাক খোঁজার সময় একটি বাঘ রেজাউল ইসলামের উপর অক্রমন করে তাকে ধারে নিয়ে যায়। এসময় তার সঙ্গীরা ঢাক পিটিয়ে চিৎকার দিলে বাঘ রেজাউলকে ফেলে বনের মধ্যে পালিয়ে যায়। পরে তার সঙ্গীরা বনের মধ্য থেকে রেজাউলের মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসে। সঙ্গীরা তার মরদেহ নিয়ে এলাকায় ফিরে আসছে।
পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, নিহত রেজাউল ইসলামের বাবা নুর ইসলাম সরদার ২০১৪ সালে একইভাবে বাঘের আক্রমণ নিহত হয়েছিল। মাত্র সাত বছরের ব্যবধানে বাঘের আক্রমণে বাবা-ছলের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা সুলতান আহমেদ বলেন, ‘বনজীবীদের মাধ্যমে বাঘের আক্রমণে রেজাউল নামে এক ব্যক্তির নিহতের বিষয়টি শুনেছি। তিনি কিছুদিন আগে মধু কাটার উদ্দেশে পাস নিয়ে বনে যান। তার মৃতদেহ উদ্ধার করে লোকালয়ে আনা হচ্ছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত বলতে পারব।’