সুন্দরবনে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অবৈধভাবে প্রবেশ করে মাছ ধরার সময় জালসহ একটি ইঞ্জিন চালিত ট্রলার ও একটি মাছ ধরার নৌকা আটক করে বন বিভাগ। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সুন্দরবন পশুর নদী সংলগ্ন জোংডা অফিসের পাসের খাল এলাকা থেকে এ ট্রলার ও নৌকা জব্দ করা হয়। আটককৃত টলার ও নৌকা থেকে কয়েক ড্রাম বরফ ও একটি নিষিদ্ধ টোনা জাল উদ্ধার করা হয়েছে।
পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই স্টেশন কর্মকর্তা ওবায়দুর রহমান বলেন, ১ জুলাই থেকে সুন্দবনের নদী-খাল এলাকায় সকল ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। যা চলবে আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত। এ দুই মাস মাছের প্রজনন মৌসুম, তাই কোন প্রকারের সুন্দরবন থেকে মাছ ধরা পরিবহন করাও নিষিদ্ধ থাকবে। কিন্ত কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা রয়েছে তারা জেলেদের বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে বিষ অথবা কারেন্ট জাল দিয়ে বন বিভাগের চোখ ফাকি দিয়ে বলে প্রবেশ করে মাছ শিকার করতে যায়। আর বনরক্ষীদের অভিযানে তা ধরাও পড়ে যায় এসকল জেলে নামধারী দুর্বৃত্তরা।
বৃহস্পতিবার রাতে একটি গোপন সংবাদের সূত্রধরে এবং রেঞ্জ কর্মকর্তার নির্দেশে বনরক্ষীদের একদল ফোর্সসহ রাতে টহলে যাওয়া হয়। এসময় বনরক্ষীদের উপস্থিতি বুঝতে পেরে নৌকা ও ট্ররার ফেলে রেখে ওই সকল জেলে দুর্বৃত্তরা বনের গহিনে পালিয়ে যায়। পরে খালে পাড় থেকে একটি ট্রলার ও একটি নৌকা আটক করতে পারলেও এর সাথে সংশ্লিষ্ট কোন জেলেকে আটক করা সম্ভব হয়নি। চাঁদপাই রেঞ্জ কর্মকর্তার নির্দেশনায় এবং তার উপস্থিতে নৌকাগুলো ভেঙে ফেলা হয়।
চাঁদপাই রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) এনামুল হক বলেন, বর্তমানে সুন্দরবনে অনুপ্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে দুইমাস। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সুন্দরবনে প্রবেশের দায়ে ট্রলার ও নৌকা আটক করা হয়েছে। আটককৃত দুইটি জলযানে কোন লোক পাওয়া যায়নি। সুন্দরবন মৎস্য সম্পদসহ সুন্দরবনের সকল সম্পদ সংরক্ষণে আমাদের এই টহল সব সময় অব্যাহত থাকবে বলেও জানায় এ রেঞ্জ কর্মকর্তা।
খুলনা গেজেট/এনএম