সুন্দরবনে ঘুরতে আসা এক দর্শনার্থীর কাছ থেকে ভিডিও ধারণের জন্য ব্যবহৃত একটি ড্রোণ জব্দ করেছে সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগ। শনিবার (০৯ জানুয়ারি)দুপুরে সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের কটকা এলাকায় অবস্থান করা ‘এমভি টাঙ্গুয়ার হাওড়’ নামক একটি লঞ্চ থেকে এটি জব্দ করে বনরক্ষীরা।ড্রোণটি সুন্দরবনের কটটা ষ্টেশন অফিসে রাখা হয়েছে।
শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, পর্যটকবাহী ‘এমভি টাঙ্গুয়ার হাওড়’ লঞ্চটি দু’দিনের অনুমতি নিয়ে শনিবার সকালে শরণখোলা দিয়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করে। কিছুদূর যাওয়ার পর লঞ্চে থাকা এক পর্যটক বনের সুপতি এলাকায় ড্রোণটি ওড়ান। এর পরপরই লঞ্চে থাকা বন বিভাগের নিরাপত্তাকর্মীরা ড্রোনটি জব্দ করে।পরবর্তীতে বনরক্ষীদের কাছ থেকে ড্রোণটি নিয়ে কটকা অভয়ারণ্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেস্টার আবুল কালামের কাছে রাখা হয়েছে। ‘এমভি টাঙ্গুয়ার হাওড়’ লঞ্চটি পরিচালনাকারী ট্যুরস অপারেটর টাইগার ট্যুরস লিমিটেডের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের কথা জানান তিনি।
টাইগার ট্যুরস লিমিটেডের কনসালট্যান্ট ওয়াকিল আহমেদ বলেন, অনুমতি গ্রহনের সময় বন বিভাগ থেকে ড্রোণের বিষয়ে আমাদেরকে কোন নির্দেশনা দেয়া হয়নি। যার ফলে আমরাও অতিথিদের কোন প্রকার নিষেধ করিনি। আর এটাও সত্য যে অতিথি ড্রোণ উড়িয়েছেন তিনি ড্রোনের বিষয়ে আমাদের কিছু জানান নি।
শনিবার সন্ধ্যায় সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, সুন্দরবন একটি সংরক্ষিত বনাঞ্চল। এখানে অনুমতি ছাড়া ড্রোণ ওড়ানো নিষিদ্ধ। ভিডিও ধারণ বা অন্য কোনো প্রয়োজনে ড্রোণ ব্যবহার করতে চাইলে মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন নিতে হয়। এই পর্যটকরা অনুমতি না নিয়ে ড্রোন ওড়ানোয় বনরক্ষীরা তা জব্দ করেছে। ট্যুরস অপারেটরদের বিরুদ্ধে সিআর মামলা করে অর্থ দন্ড দেয়ার প্রস্তুতি চলছে।
লঞ্চটিতে ৩৫ জন বাংলাদেশি পর্যটক ছিলেন। তাঁরা টাইগার ট্যুরস লিমিটেড নামের একটি ট্যুর অপারেটর প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ঢাকা থেকে সুন্দরবন ভ্রমণে আসে। যার কাছ থেকে ড্রোনটি উদ্ধার করা হয়েছে তিনি পরিবার নিয়ে সুন্দরবন এসেছিলেন।ওই ব্যক্তি একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা।তিনি শুধুমাত্র সখের বসে সুন্দরবনের মধ্যে ড্রোণটি উড়িয়েছিলেন বলেন বনরক্ষিদের কাছে দাবি করেছেন।
এর আগে ২০১৬ সালের জানুয়ারি এবং ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে সুন্দরবনের পূর্ব বন বিভাগ এলাকা থেকে বিদেশী নাগরিকের দুটি ড্রোণ জব্দ করেছিল বনরক্ষিরা।
খুলনা গেজেট/এ হোসেন