খুলনা, বাংলাদেশ | ১৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৩১শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  দক্ষিণ কোরিয়ায় নৌ-বাহিনীর প্লেন বিধ্বস্ত, বেঁচে নেই আরোহীদের কেউ
  বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি পদে দায়িত্ব নিলেন সাবেক ক্রিকেটার আমিনুল ইসলাম বুলবুল
  নেচার ইনডেক্সের র‍্যাংকিংয়ে শীর্ষ ১০-এ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
  ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়তে জাপানের আরও বিনিয়োগ চান প্রধান উপদেষ্টা

সুন্দরবনে আগুন : বন বিভাগের চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে, কারণ জানতে তদন্ত কমিটি

নিজস্ব প্রতি‌বেদক, বাগেরহাট

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের কলমতেজী টহল ফাঁড়ি-সংলগ্ন বনে লাগা আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। রোববার (২৩ মার্চ) সকালে ধানসাগর স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা বপুলেশ্বর দেবনাথ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিস এর সদস্যরা সন্ধ্যার দিকে চলে গেলেও, শনিবার রাত ৯ টা থেকে বন বিভাগের নিজস্ব পাম্প ও পাইপ লাইনের মাধ্যমে আগুনস্থলে পানি দেওয়া হয়েছে। বন রক্ষী ও বন কর্মকর্তাদের সাথে স্থানীয় অদক্ষ শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক রাতভর আগুন নিয়ন্ত্রণে আমাদের সাথে কাজ করেছে। আগুন এখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

রোববার সকাল আটটার দিকে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। নিয়ন্ত্রণে আসা আগুন আর ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কিনা বা আবার জ্বলে ওঠার শঙ্কায় ঘটনাস্থলে আগুনের অস্তিত্ব খুঁজছেন বন বিভাগ ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা।

এদিকে অগ্নিকান্ডের কারণ ও করণীয় জানতে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) দ্বীপন চন্দ্র দাসকে প্রধান করে এই কমিটি করা হয়। কমিটিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।

শনিবার সকাল ৯ টার দিকে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের কলমতেজি টহল ফাঁড়ি-সংলগ্ন বনে দোয়া দেখতে পাই স্থানীয়রা। দুপুরের দিকে স্থানীয়দের সাথে নিয়ে আগুন নাকায় স্থান সনাক্ত ও আগুন নির্বাপনের চেষ্টা করে বন বিভাগ। বিকেলের দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট।

ফায়ার সার্ভিস, বন বিভাগ ও স্থানীয়রা সুন্দরবনে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে বনের মধ্যে প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকা ধরে ফায়ার লাইন (শুকনো পাতা, মাটি সরিয়ে নালা) করে। তবে রাত হয়ে যাওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা অভিযান সমাপ্ত করে চলে গেলেও, বন বিভাগ নিজস্ব ব্যবস্থায় আগুন লাগে স্থানে পানি দিতে থাকে। বন বিভাগের সাথে যোগ দেয় অর্ধশতাধিক স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!