সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দিয়েছে বিমান বাহিনীর একটি দল। তারা হেলিকপ্টারে করে বেলা সাড়ে ১২টা থেকে বনভূমি এলাকায় আগুন নেভাতে পানি ছিটানো শুরু করেছে। আগুন এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত অবস্থায় বলে জানিয়েছেন মোরেলগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
এর আগে আগুনের খবর পাওয়ার দ্বিতীয় দিনে রোববার ভোর থেকে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। তাদের সহযোগিতায় বনবিভাগ ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের পাশাপাশি যোগ দেয় কোস্টগার্ড ও নৌ বাহিনীর দুটি আলাদা দল। সকাল থেকে দুই দফায় হেলিকপ্টারে করে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিমান বাহিনী। পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের জিউধারা স্টেশনের আমোরবুনিয়া টহল ফাঁড়ির লতিফের ছিলা এলাকায় লাগা এই আগুন দ্বিতীয় দিনের মতো আজও জ্বলছে।
ঘটনাস্থলে থাকা মোরেলগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম তারেক সুলতান বলেন, বেলা সাড়ে ১২টা থেকে বিমান বাহিনী হেলিকপ্টারে করে পানি দেওয়া শুরু করেছে। পাশাপাশি ফায়ার ফাইটিংয়ের নিযুক্ত ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের কাজে সহযোগিতা করছে বন বিভাগ, স্বেচ্ছাসেবক, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশ, উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয়।
এরই মাঝে অন্তত ৫ কিলোমিটার এলাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের। বনাঞ্চলের ঝুঁকি বিবেচনায় রাতে অগ্নিনির্বাপণ কাজ স্থগিত থাকলেও রোববার সকাল থেকে আবারও কাজ শুরু করেছে বন বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস, স্থানীয় বাসিন্দা ও সেচ্ছাসেবকরা। তাদের সহযোগিতায় যোগ দিয়েছে কোস্ট গার্ড ও নৌ-বাহিনীর দুটি পৃথক দল।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম বলেন, আগুন নির্বাপণে সকাল থেকে সকলে সম্মিলিতভাবে আবারও কাজ শুরু করেছি। অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) রানা দেবকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগ। কমিটিকে সাত কার্যদিবসে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম/এএজে