খুলনা, বাংলাদেশ | ১৪ পৌষ, ১৪৩১ | ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে এক জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১০৪
  বগুড়ায় ট্রাকচাপায় বাবা-মেয়েসহ নিহত ৩
  আগামী বিজয় দিবসের আগে জুলাই গণহত্যার বিচার সম্পন্ন করা হবে : আসিফ নজরুল

সুন্দরবনে অস্ত্র গোলাবারুদসহ ৩ জলদস্যু গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগেরহাট

সুন্দরবন থেকে দেশীয় অস্ত্র ও গেলাবারুদসহ জলদস্যু নয়ন বাহিনীর তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) ভোর ৪টা ১০ মিনিটে বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের জয়মনির ঘোল গ্রামস্থ মিরাগামারী খালের উত্তর পাড় থেকে এই দস্যুদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের পূর্বক আদালতে সোপর্দের প্রস্তুতি চলছে। সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে বাগেরহাট পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেসব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক।

এসময়, বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এ্যান্ড অপস) মোঃ রাসেরুলুর রহমান, পুলিশ পরিদর্শক এসএম আশরাফুল আলমসহ পুলিশের উর্দ্ধোতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলার খুড়িয়াখালী গ্রামের মৃত মকবুল ফরাজীর মোঃ মাসুম ফরাজী(৩৫), একই গ্রামের মোঃ আব্বুস কবিরাজের ছেলে মোঃ হাছান কবিরাজ(৩০) এবং বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ারী গ্রামের মৃত আমির হোসেন হাওলাদারের ছেলে মোঃ আলমগীর হোসেন হাওলাদার(৫০)।আটককৃতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ০১ টি দেশীয় তৈরী একনালা বন্দুক, ৩ রাউন্ড কার্তুজ, কাঠের বাটসহ ২টি রামদা, ২ টি লোহার রড, ১ টি কাঠের পুরাতন ডিঙ্গি নৌকা, ২ টি টর্চ লাইট, ২ পুরাতন সুতী চেকের গামছা, হাত-পা বেধে রাখার কয়েক টুকরা লাইলনের রশি, ১ টি স্কচ টেপ এবং বিভিন্ন সাইজের ৪ টি গরান গাছের লাঠি উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক বলেন, সম্প্রতি সুন্দরবন থেকে মাছ ধরার সময় কিছু জেলেদের অপহরণ করে বনদস্যুরা। কৌশলে জেলেদের উদ্ধার করলেও, বনদস্যুরা অধরা ছিল। কিন্তু পুলিশের অভিযান অব্যাহত ছিল। এই ধারাবাহিকতায় মিরাগামারী খালের উত্তর পাড় থেকে অস্ত্রসহ তিন বনদস্যুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মোংলা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে সোপর্দের প্রস্তুতি চলছে।

এসব দস্যুরা আত্মসমর্পনকৃত দস্যু কিনা এমন প্রশ্নে পুলিশ সুপার বলেন, এই দস্যুরা কেউই আত্মসমর্পন করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা দস্যু নয়। এরা সবাই এক সময় সুন্দরবনে জেলে হিসেবে মাছ আহরণ করত। কিন্তু হঠাৎ করে তারা দস্যুতা বৃত্তিতে লিপ্ত হয়। এরা নিজেদেরকে নয়ন বাহিনীর লোক বলে পরিচয় দিয়েছেন। মাছুম ফরাজী নয়ন বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে পরিচয় দিয়েছে। মাছুম ফরাজীর বিরুদ্ধে এই মামলা ছাড়াও সুন্দরবন সংলগ্ন বিভিন্ন অপরাধে তিনটি মামলা রয়েছে। এছাড়াও সুন্দরবনের দস্যুতার সাথে জড়িত অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।

১৫ ডিসেম্বর বিকেলে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগেরর চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের বেড়ির খাল ও হরমল খাল থেকে ১১ জন জেলেকে অপহরণ করে দস্যুরা। পরে জেলেপ্রতি ১০ হাজার টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করে দস্যুরা। ২১ ডিসেম্বর অপহৃত ১১ জেলেকে উদ্ধার করা হয়।

খুলনা গেজেট/ বিএমএস




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!