জলবায়ু উষ্ণায়নের ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে জলোচ্ছ্বাসের কবল থেকে সুন্দরবনকে রক্ষার দাবিতে প্রতিকী মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করা হয়েছে।
শনিবার (২২ আগস্ট) দুপুরে সুন্দরবনের করমজলে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এবং পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের যৌথ আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন বাপা বাগেরহাট জেলা কমিটির আহ্বায়ক পশুর রিভার ওয়াটারকিপার মোঃ নূর আলম শেখ।
মানববন্ধন চলাকালে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পশুর রিভার ওয়াটারকিপার ভলান্টিয়ার ইস্রাফিল বয়াতি, বাপা নেতা নাজমুল হক, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার ভলান্টিয়ার মারুফ বিল্লাহ প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, জলবায়ু উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে পৃথিবীর জমানো বরফখন্ড গলে সমুদ্রে যাচ্ছে। এরফলে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারনে সুন্দরবনর ভেতরে অতিরিক্ত লবন পানি প্রবেশ করছে। এরফলে সুন্দরবনের ভেতর এবং সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় সুপেয় পানির আধার গুলি লবণাক্ত হয়ে পড়েছে। এতে বন্যপ্রাণীসহ মানুষের সুপেয় পানির সংকট যেমন সৃষ্ট করেছে পাশাপাশি কুমিরসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর প্রজননে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। সমাবেশে বক্তারা বিশ্ব নেতৃত্বের কাছে ঋণ নয় ক্ষতিপূরণ দাবী করে জলবায়ু ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার দাবী করেন। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা, “টাইম ফর ন্যাচার” “ক্লাইমেট জাস্টিস নাউ” “গ্রীণ রিকভারি” “গ্রিণ জবস” “সেভ দি পশুর রিভার, সেভ দি সুন্দরবন” প্রভৃতি লেখা শ্লোগান লেখা প্লাকার্ড প্রদর্শন করেন। উল্লেখ্য গত ৪০/৫০ বছরে পশুর নদী এবং সুন্দরবনের মধ্যে কোন ধরনের সিগন্যাল-ঘূর্ণিঝড় ছাড়া এতো পানি বৃদ্ধি হতে দেখা যায়নি। সুন্দরবনের অভ্যন্তরে অতিরিক্ত লবন পানি প্রবেশ এবং পানির বৃদ্ধির খবরের সত্যতা স্বীকার করে করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির বলেন গত ১০ বছর ধরে আমি সুন্দরবনে আছি। এর আগে সিগনাল ছাড়া এতো পানি বাড়তে দেখেনি। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩/৪ ফুট পানি বেড়েছে গত কয়েকদিন ধরে। এতে কুমিরের ডিম পাড়ার জায়গা নষ্ট হয়ে গেছে। পাশাপাশি সুপেয় পানির আধার গুলি নষ্ট হয়েছে এবং বন্যপ্রাণীর প্রজননসহ স্বাভাবিক জীবন যাপনে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।
খুলনা গেজেট / এমএম