সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় প্রধান আসামি বাসের চালক শহিদ মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। শনিবার ভোরে ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জ পুরাতন বাসস্টেশনে এসে নামার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিআইডি তাকে গ্রেপ্তার করে।
এর আগে গত ২৮ ডিসেম্বর ছাতকের বুরাইরগাঁও থেকে বাসটির হেলপার রশিদ আহমদকে স্থানীয়দের সহায়তায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
গত ২৬ ডিসেম্বর বিকেলে সিলেটের লামাকাজী থেকে দিরাইয়ে যাচ্ছিলেন মজলিমপুর গ্রামের এক কলেজছাত্রী। দিরাই পৌরসভার সুজানগর গ্রামের পাশে অন্য যাত্রীরা নেমে গেলে ওই বাসে একা হয়ে যান তিনি। এসময় চালক ও হেলপার তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। সম্ভ্রম বাঁচাতে তিনি চলন্ত বাস থেকেই লাফিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাঁকে সড়কের পাশ থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে দিরাই হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে সিলেটের ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। খবর পেয়ে নির্যাতিতার স্বজন ও স্থানীয়রা ওই রাতেই দিরাই থানার সামনে বিক্ষোভ করেন। ওই ঘটনায় সুনামগঞ্জ জেলা শহরেও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। পরে পুলিশ বাসটি জব্দ করে।
ঘটনার দিন রাতেই ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে বাসের চালক শহীদ মিয়া ও হেলপার রশিদ আহমদকে আসামি করে দিরাই থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন।
সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ঘটনায় জড়িত বাসচালক শহীদ মিয়াকে সিআইডি পুলিশ নানা কৌশলে ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জে এনে আজ শনিবার ভোর ৬টায় সুনামগঞ্জ শহরের পুরাতন বাসস্টেশন থেকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে সিআইডি এখনো পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেনি শহিদ মিয়াকে।’
খুলনা গেজেট/এনএম