মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে নতুন আরও পাঁচটি অভিযোগ গঠন করেছে দেশটির সামরিক জান্তা সরকার। এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ক্ষমতায় থাকাকালীন একটি হেলিকপ্টার কেনার ক্ষেত্রে সম্পৃক্ততার কারণে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। খবর আল জাজিরার।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে আটক হন সু চি। এর আগেই তার বিরুদ্ধে আরও পাঁচ দুর্নীতির অভিযোগে বিচার চলছে। এগুলোতে তিনি অভিযুক্ত হলে এক একটিতে তার সর্বোচ্চ ১৫ বছরের কারাদণ্ড এবং জরিমানা গুণতে হবে।
সু চিকে এর আগে বেশ কিছু অভিযোগে ছয় বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এর মধ্যে অবৈধভাবে ওয়াকিটকি আমদানি ও নিজের কাছে রাখা এবং করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সরকারি বিধিনিষেধ লঙ্ঘনের জন্য দোষী সাব্যস্ত হন তিনি।
তার সমর্থক এবং বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, গণতান্ত্রিক সরকারকে সরিয়ে সামরিক বাহিনী যেভাবে ক্ষমতা দখল করেছে তার বৈধতা প্রমাণের জন্যই সু চি কে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে। একই সঙ্গে সু চির রাজনীতিতে ফিরে আসার পথও বন্ধ করে দেওয়ার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়।
তবে সামরিক বাহিনী শুরু থেকেই এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে এক সংবাদ সম্মেলনে জান্তা সরকারের মুখপাত্র মেজর জেনারেল জ মিন টুন বলেন, কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নন। আমি শুধু বলতে চাই, আইনের আওতায় তার বিচার হওয়া উচিত।
২০২০ সালের সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় বসে অং সান সু চি নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি পার্টি। তাদের পাঁচ বছর দেশ শাসন করার কথা ছিল। কিন্তু নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ এনে বেসামরিক সরকারকে সরিয়ে দেয় সেনাবাহিনী।
এরপরেই দেশজুড়ে সেনাবাহিনীর বিপক্ষে ব্যাপক বিক্ষোভ-প্রতিবাদ শুরু হয়। তবে সবকিছুই কঠোর হাতে দমন করেছে জান্তা সরকার। ফেব্রুয়ারির ১ তারিখে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৪৬৯ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া আরও ১১ হাজার ৫শর বেশি মানুষকে আটক করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম