হে প্রভু দয়াময়, নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাসে অন্তরে মোর –
তুমি রয়েছো সদা জাগরুক – অনন্তকাল।
সকল সংকল্পে, জীবন সংগ্রামে সত্যের পথে
ইসলামের আলোকে উদ্ভাসিত হৃদয়ের দীপ্ত
মশাল জ্বেলে।
গোধূলি সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে, কখনও চেয়ে দেখি
সাঁঝে ঢাকা আকাশ ঘননীলে, প্রকৃতির সাজ অপরূপে।
বিয়াইন নদী, বহমান সুরমার স্রোতে ঝর্ণাধারা, পাথরখণ্ড
ভেসে চলে, পাহাড়ি ঢলে -, বর্ষার জলে,
পাথরখন্ডে ঠাঁই মেলে, পর্যটকের আনন্দবিলাস ঐ
– নদীজলে আর নুড়ি, পাথর ঝিনুক কুড়িয়ে সাগরের বালুচরে।
কতো নয়ন তৃপ্তি মৌসুমি হাওয়ায় নৈসর্গিক
সৌন্দর্যে বিমুগ্ধ হৃদয়ের সুখ, নয়নের মাঝে উজ্জ্বল ছবি
– একান্ত কোলাহলে, ভ্রমণ বিলাস ও সাঁতার কেটে নোনাজলে।
নদী তীরের দৃশ্যপট-বন্দী, প্রকৃতি প্রেমের স্বপ্নজালে,
ঘড়ির কাঁটার মতো জীবনটা চলে, ট্রেনের গতি
ইঞ্জিনের টানে, দ্রুত চলে। অসহ জীবনেও মানুষ
বাঁচে, কখনও প্রবল বন্যার জলে ভাসে, দুর্যোগ এলে।
– কতো জীবন হারায় নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাসে, জোয়ার ভাটার জলে।
– অন্ধকার, অমানিশার আকাশের মেঘমালার ফাঁকে
চাঁদের আলোয় সুখের হাসিও মেলে। প্রভাতে
জ্যোৎস্নাকাশে ধ্রুবতারা জ্বলে।
জীবনের শান্তি সুখ, স্রষ্টার দয়া মহিমা বলে।
জন্মভূমি বাংলাদেশের তৃণছায়া, গাছপালা, মাটির উর্বর
ফসলে, জীবনের সুখ মেলে। ‘শুধু এক স্রষ্টার নাম জপলে
– জীবন পরীক্ষায় স্বস্তি মেলে’, ভূমিকম্প, বজ্রপাতে –
হৃৎপিণ্ড কেঁপে গেলে। নিত্যানন্দ ধর্মীয় মূল্যবোধের
সুফলে।
জীবনবৃক্ষের ডালে কতো ফুল ফোটে, প্রকৃতির
মায়া মোহ জালে, কৃষ্ণচূড়া, মালতী, বেলীর
সুরভি সৌন্দর্য ফোটে ষড়ঋতুর বদলে।
সকল প্রশংসা জগত সমূহের প্রতিপালকের
তাঁরই অবারিত দান, করুনায় সুখময়
জীবনের সমৃদ্ধি। শতো শোকর গুজরান, আকুল
ফরিয়াদ সালাতে-মুনাজাতে দু’হাত
তুলি তাঁরই (প্রভুর) কাছে, সর্বকালে।
– প্রিয় নবীজির (সা:) আদর্শ ও সদা জাগরুক হৃদয় মাঝে।
খুলনা গেজেট/ বিএম শহিদুল