ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) মহাপরিচালক (ডিজি) রাকেশ আস্থানা বলেছেন, সীমান্তে হত্যা বন্ধে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেয়া হবে। একই সাথে সীমান্ত হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অপরাধীদের কোনো দেশ নেই, সীমান্তের দু’পাশেই তাদের অবস্থান।
শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিজিবি সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে বিজিবি ও বিএসএফের মহাপরিচালক পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলনের তৃতীয় দিন এসব কথা বলেন তিনি।
ডিজি পর্যায়ের ৫০তম এ সম্মেলনে সীমান্ত হত্যা বন্ধসহ, মাদক, অবৈধ অস্ত্র ও মাববপাচার রোধে সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া ৮ জন বন্দিকে দ্রুত ফিরিয়ে দিতে সম্মত হয়েছে ভারত। সীমান্তে যে কোনো ইস্যুতে মানবাধিকারের বিষয়টি প্রাধান্য দেয়াতে দুই দেশ সম্মত হয়েছে। এ সময় বিএসএফ সীমান্ত হত্যা বন্ধে নিশ্চিত করেছে। জয়েন্ট পেট্রোলিং (যৌথ টহল) এর ব্যাপারে বিজিবি-বিসিএফ সম্মত হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (১৭ সেম্পেম্বর) সকালে বিজিবি সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে বিজিবি ও বিএসএফের মহাপরিচালক পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। চার দিনব্যাপী সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলামের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করছে। এ দলে বিজিবির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, যৌথ নদী কমিশন এবং ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা প্রতিনিধিত্ব করছেন।
অন্যদিকে ভারতের ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে আছেন বিএসএফ মহাপরিচালক রাকেশ আস্থানা।
খুলনা গেজেট / এমএম