চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপো থেকে আরও দুটি মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা। মরদেহগুলো আগুনে পুড়ে অঙ্গার হয়ে যাওয়ায় সেগুলোর পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
বুধবার রাত ৮টার দিকে বিস্ফোরণে পুড়ে যাওয়া কনটেইনার অপসারণের সময় মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে এই বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৪৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ সমকালকে বলেন, ‘বিএম কনটেইনার ডিপোর ধ্বংসস্তুপ থেকে আরও দুটি মরদেহের পোড়া দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে। হেলমেটসহ একটি মাথার খুলি উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে সেটি কোনো ফায়ার ফাইটারের হতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘নিহতদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহসহ যাবতীয় বিষয় খতিয়ে সেটি নিশ্চিত হওয়া যাবে। দেহাবশেষের মধ্যে হাড়ও ছিল। মরদেহ দুটি পুড়ে অঙ্গার হয়ে যাওয়ায় পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। ধ্বংসস্তুপে কনটেইনার অপসারনের কাজ ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা অব্যাহত রেখেছেন।’
ডিপো থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধারের পর অ্যাম্বুলেন্স করে সেগুলো চমেক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। পরে সেগুলো হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়।
ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা জানান, বুধবার কনটেইনার সরানোর কাজ করতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা একটা কনটেইনারের নিচে গামবুট, হেলমেট ও শরীরের কয়েকটি অংশের হাড় উদ্ধার করে। অপর আরেকটি কনটেইনারের নিচ থেকে একটি মাথার খুলিও পাওয়া যায়।
সবগুলো দেহাবশেষ আগুনে পুড়ে একেবারে অঙ্গার হয়ে গেছে। তাই এগুলোর পরিচয় শনাক্ত করা কঠিন হবে। এর আগে গত মঙ্গলবার ঘটনাস্থল থেকে দুই জনের মরদেহ উদ্ধার করেছিল ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
খুলনা গেজেট/ আ হ আ