ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসাম ও মেঘালয়ের পাহারি ঢলে থেমে থেমে পানি বেড়ে সিলেট নগরীসহ বেশির ভাগ এলাকাই এখন ভাসছে বন্যায়। এ ছাড়া নদী উপচে পানি উঠে গেছে নগরীর বেশির ভাগ এলাকায়।
জেলা প্রশাসনের হিসেবে সিলেটের ছয়টি উপজেলা বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যার্তদের সহায়তায় দ্বিতীয় দফায় চাল ও শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে আজ মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর তিনটি স্থানে ত্রাণ বিতরণ ও বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য ড. এ কে আবদুল মোমেন।
সরেজমিনে সিলেট শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হাঁটুপানি মাড়িয়ে চলাচল করছেন সিলেট নগরীর অধিকাংশ এলাকার মানুষ। গতকাল সোমবার সকাল থেকে সুরমা নদীর পানি উপচে প্রবেশ করতে থাকে নগরীর বিভিন্ন বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। কাল থেকে শুরু করে আজ দিনে থেমে থেমে বাড়তে থাকে পানি। বাড়ে দুর্ভোগও। এরপরই আসবাবপত্র ও জরুরিসামগ্রী নিরাপদে সরিয়ে নেন বন্যা কবলিতরা। রাস্তাঘাটে পানি ওঠায় বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। কিছু রাস্তায় যানবাহন চলাচল করলেও পানি ঢুকে বিকল হয়ে পড়ে।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী বলেন, বন্যাকবলিতদের জন্য নগরে ১৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এ ছাড়া দুটি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। শুকনো খাবার বিতরণেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী ২৩ জুন পর্যন্ত সিলেটে বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। যে কারণে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এর আগে তলিয়ে গেছে কানাইঘাট, সদর, জকিগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, ফেঞ্চুগঞ্জ ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বেশির ভাগ এলাকা। অনেকে অবস্থান নিয়েছেন আশ্রয়কেন্দ্রে।