সিলেটের জৈন্তাপুরের চিকনাগুল ইউনিয়নের ঘাটেরচটি এলাকায় দুই দিনে দুটি লাশ উদ্ধার হওয়া নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের তৈরি হয়েছে। পুরো উপজেলায় চলছে তোলপাড়। গত সোমবার (৭ মার্চ) বিকেলে পুকুর থেকে এক তরুণের লাশ উদ্ধার করেছিল পুলিশ।
অর্ধগলিত লাশটি উদ্ধারের পর পরিবারের পক্ষ থেকে শনাক্ত করে বলা হয়েছিল, লাশটি উপজেলার চিকনাগুল ইউনিয়নের ঘাটেরচটি গ্রামের ডালিম আহমদের (২৪)। ময়নাতদন্ত শেষে গত মঙ্গলবার (৮ মার্চ) লাশটির দাফনও সম্পন্ন হয়।
এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করতে গিয়ে মঙ্গলবার (৮ মার্চ) ঘাটেরচটি এলাকা থেকে আরেকটি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নতুন লাশের পরিচয় জানতে আঙুলের ছাপ নিয়ে যাচাই করে পুলিশ নিশ্চিত হয় মঙ্গলবারে উদ্ধার হওয়া লাশটিই ডালিম আহমদের। আর ডালিম আহমদ ভেবে যাকে দাফন করা হয়েছিল, তিনি অজ্ঞাত ব্যক্তি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) ও মিডিয়া অফিসার মো. লুৎফর রহমান বলেন, পরিবারের শনাক্তের পর ডালিমের লাশ ভেবে প্রথমে দাফন করা ব্যক্তির লাশটি ডালিমের ছিল না। উদ্ধার দ্বিতীয় লাশটির আঙুলের ছাপের সাথে ডালিমের আঙুলের ছাপের মিল হওয়ায় প্রতীয়মান হয়েছে যে এটিই ডালিমের লাশ। পরবর্তীতে একই কবরস্থানে সেই লাশটিও দাফন করে তার পরিবার।
আর দাফনকৃত অজ্ঞাত প্রথম লাশটির বিষয়ে তিনি জানান, প্রথমে দাফনকৃত লাশটি একজন সনাতন ধর্মাবলম্বীর। গতকাল (১০ মার্চ) কানাইঘাটের গাছবাড়ি এলাকার সনাতন ধর্মাবলম্বী লোকজন পশ্চিম ঘাটেরচটি গ্রামে এসে দাবি করেন প্রথম লাশটি তাদের এক স্বজনের। পরে তারা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করলে পুলিশ বিভিন্ন আলামত পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে লাশটি সনাতন ধর্মাবলম্বী শম্বু দেবনাথের বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়। এই ঘটনায় পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
একই এলাকায় দুটি লাশ উদ্ধার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অপরাধীকে অবশ্যই খুঁজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
খুলনা গেজেট/ এস আই