সিলেটপর্বে ভাগ্য খুলেছিল স্বাগতিক ফ্র্যাঞ্চাইজির। হারের বৃত্ত ভেঙ্গে টানা দুই জয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস ছিল সিলেট স্ট্রাইকার্সের। এবার সিলেট পর্বের শেষ দিনে নিজেদের মাটিতে হারের স্বাদ পেল স্বাগতিকরা। দিনের প্রথম ম্যাচে চিটাগাং কিংসের কাছে ৩০ রানে হেরে গেছে সিলেট।
উসমান খান-গ্রাহাম ক্লার্কের জোড়া ফিফটিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ২০৩ রানের বড় পুঁজি গড়েছিল চিটাগং কিংস। জবাবে জর্জ মুনশি ও জাকের আলির ঝোড়ো ইনিংসের পরও সিলেট থেমেছে ৮ উইকেটে ১৭৩ রানে। এ নিয়ে চলমান আসরে জয়ের হ্যাটট্রিক হলো চিটাগাং কিংসের।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে চিটাগাংকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় স্ট্রাইকার্স। ব্যাটিংয়ে শুরুটা খারাপ হয়নি চট্টলার ফ্র্যাঞ্চাইজিটির। উদ্বোধনী জুটিতে উসমান খান ও পারভেজ হোসেন ইমন তুলেছিলেন ৩২ রান। যদিও ইনিংস বড় করতে পারেননি ইমন। আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াডে জায়গা পাওয়া তরুণ এই ওপেনার ১০ বলে ৭ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন।
উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর গ্রাহাম ক্লার্ককে নিয়ে দারুণভাবে এগিয়ে নেন উসমান। দুজনই বোলারদের পরীক্ষায় ফেলেছেন। ব্যক্তিগত ফিফটির পর অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি পাকিস্তানি ব্যাটার উসমান। ৩৫ বলে ৫৩ রান করে আউট হন। অন্যপ্রান্তে তখনো সজোরে ব্যাট চালিয়েছেন ক্লার্ক। তুলে নেন ইনিংসের দ্বিতীয় ফিফটি। ৩৩ বলে ৬০ রানের ঝলমলে এক ইনিংস খেলে ফিরেছেন সাজঘরে।
উসমান-ক্লার্ক কল্যানে ভালো ভিত গড়ে দেওয়ার পর মাঝে অধিনায়ক মিঠুন ও শেষ দিকে ঝড় তুলেছেন হায়দার আলী। ১৮ বলে ৪২ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন। ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ২০৩ রান তুলে থামে চিটাগাং কিংস। সিলেটের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট শিকার করেছেন তানজিম সাকিব।
২০৪ রানের বড় টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় সিলেট। প্রথম ওভারেই গোল্ডেন ডাক মেরে ফিরেছেন ওপেনার পল স্টার্লিং। তিনে নামা জাকির হাসান উইকেটে থিতু হলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ফিরেছেন ১৯ বলে ২৫ রান করে। ব্যর্থ হয়েছেন ওপেনার রনি তালুকদারও। পাওয়ারপ্লেতে তিন উইকেট হারিয়ে শুরুতেই বিপাকে পড়ে যায় সিলেট।
শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে দলের হাল ধরার চেষ্টা চালিয়েছেন জর্জ মুনশি। পরে তার সঙ্গে যোগ দেন জাকের আলি অনিকও। টপঅর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতার মিছিলে গুরুত্বপূর্ণ ফিফটি হাঁকান মুনশি। যদিও ৩৭ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলে ফিরে গেছেন তিনিও।
যত সময় যাচ্ছিল সিলেটের জয়ের সমীকরণ ততই কঠিন হতে থাকে। শেষ দিকে জাকের আলি রীতিমতো বোলারদের ওপর তুফান বইয়ে দিয়েছেন। ২৩ বলে ৪৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন তরুণ এই ব্যাটার। তবে তাতে হারের ব্যবধান কমেছে কেবল। শেষ পর্যন্ত ৩০ রানের জয় ফিয়েছে চট্টগ্রাম। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন মোহাম্মদ ওয়াসিম।
খুলনা গেজেট/এএজে