খুলনা, বাংলাদেশ | ১১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৬ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  অ্যান্টিগা টেস্ট: শেষ দিনে বাংলাদেশের দরকার ২২৫ রান, হাতে ৩ উইকেট

সিরিয়ালের নামে চাঁদাবাজি’র প্রতিবাদে ভোমরা সিএন্ডএফ’র কর্মবিরতি ও মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতি‌বেদক, সাতক্ষীরা

ভারতের ঘোজাডাঙ্গা স্থলবন্দরে পণ্যবাহী ট্রাকের সিরিয়ালের নামে চাঁদাবাজি’র প্রতিবাদে কর্মবিরতি ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে ভোমরা স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্টস্ এসোসিয়েশনের আহবায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দসহ বন্দর সংশ্লিষ্টরা।

শনিবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে ভোমরা স্থলবন্দরে দু’ঘন্টা কর্মবিরতি শেষে স্থলবন্দর এলাকায় এই মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

ভোমরা স্থলবন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্টস্ এসোসিয়েশনের আহবায়ক শেখ এজাজ আহমেদ স্বপনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সিএন্ডএফ’র আহবায়ক কমিটির সদস্য রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী, মোঃ মিজানুর রহমান, আমির হামজা, দীপঙ্কর ঘোষ, আমদানি-রপ্তানিকারক মোঃ শাহানুর ইসলাম শাহীন, রইসুল ইসলাম টুকু, বিলকিস সুলতানা সাথী, রুখসানা পারভীন, ভোমরা স্থলবন্দর কর্মচারী এসোসিয়েশনের সভাপতি পরিতোষ কুমার ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আলম মিলন, লেবার সংগঠনের রেজিং নং- ১৭২২ এর সভাপতি মোঃ সামছুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক মোঃ নিজামউদ্দিন, রেজিং নং-১৯৬৪ এর সভাপতি মোঃ আশরাফুল ইসলাম বাবলু, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আসাদুল ইসলাম, রেজিং নং-১১৫৯ এর সভাপতি মোঃ এরশাদ আলী, সাধারণ সম্পাদক মোঃ তরিকুল ইসলাম, রেজিং নং-১১৫৫ এর সভাপতি মোঃ আনারুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাসুদ আলী প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, স্থানীয় ব্যবসায়ী নাজমুল আলম মিলন, আনসার আলীসহ কিছু ব্যবসায়ীর যোগসাজশে ভোমরা স্থলবন্দরের বিপরীতে ভারতের ঘোজাডাঙ্গায় কাস্টমস্ শুল্ক স্টেশনের পার্শ্ববর্তী বেসরকারি পার্কিংগুলোতে সিরিয়ালের নামে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। যা প্রতি পণ্যবাহী ট্রাকের জন্য ৩০ হাজার থেকে ৩৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। যার ফলে, বাংলাদেশী আমদানীকারকরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। যে কারণে ভারত থেকে আনা আমদানিজাত পণ্যের মূল্য ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের অন্যান্য বন্দরের তুলনায় এই বন্দরে আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেক আমদানিকারকরা এ বন্দর ত্যাগ করছে। ফলে ভোমরা স্থলবন্দর থেকে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে এই স্থলবন্দরটি বন্ধ হওয়ার উপক্রম হবে। তাই ঐক্যবদ্ধ ভাবে এই চাঁদাবাজি বন্ধের কোন বিকল্প নেই। তা না হলে আমাদের লাগাতার কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

সংগঠনটির আহবায়ক শেখ এজাজ আহমেদ স্বপন বলেন, এই চাঁদাবাজী যদি বন্ধ না হয় তাহলে ৩০ জানুয়ারি তিনঘন্টা কর্মবিরতি ও মানববন্ধন, ৩১ জানুয়ারি চারঘন্টা কর্মবিরতি ও মানববন্ধন। এছাড়া হয় আগামী ১ ফেব্রুয়ারী থেকে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করা হবে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম 




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!