সিরিয়ায় মার্কিন সামরিক বাহিনীর বিমান হামলায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) ৩৫ জনের বেশি সদস্য নিহত হয়েছেন। চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে হামলায় আইএস সদস্যরা নিহত হয়েছেন বলে বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে।
ইরাক ও সিরিয়ায় জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে সম্প্রতি মার্কিন ও স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনী ধারাবাহিকভাবে অভিযান চালিয়ে আসছে। একসময় উভয় দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল ইসলামিক স্টেট-সহ অন্যান্য জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) বলেছে, ‘‘সিরিয়ার মরুভূমিতে আইএসের জ্যেষ্ঠ নেতাদের লক্ষ্য করে একাধিক অবস্থানে হামলা চালানো হয়েছে।
গত সোমবারের এই হামলায় কোনও বেসামরিক হতাহতের ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে সেন্টকম। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সিরিয়ার সমগ্র অঞ্চল ও এর বাইরে বেসামরিক নাগরিকদের পাশাপাশি মার্কিন মিত্র ও তার অংশীদারদের বিরুদ্ধে আইএসের হামলার পরিকল্পনা, সংগঠিত হওয়া ও হামলার সক্ষমতাকে ব্যাহত করেছে ওই হামলা।
এর আগে, গত সপ্তাহে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে মার্কিন ও ইরাকি বাহিনী। ওই সময় বাগদাদ বলেছিল, যৌথ অভিযানে অন্তত ৯ জঙ্গি নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দেশটিতে আইএসের শীর্ষ নেতাও ছিলেন। গত ১৮ অক্টোবর সেন্টকম বলেছিল, ইরাকি হামলায় গোষ্ঠীটির জ্যেষ্ঠ এক নেতা-সহ অন্য তিন জঙ্গি নিহত হয়েছেন।
সেন্টকম বলেছে, আগস্টের শেষের দিকে মার্কিন ও ইরাকি বাহিনীর যৌথ অভিযানে ইরাকের পশ্চিম মরুভূমিতে আইএসের ১৪ যোদ্ধা নিহত হয়েছেন; যাদের মধ্যে গোষ্ঠীটির চার নেতাও ছিলেন।
জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করার জন্য ২০১৪ সালে গঠিত আন্তর্জাতিক আইএস-বিরোধী জোটের অংশ হিসেবে সিরিয়ায় মার্কিন সেনাবাহিনীর প্রায় ৯০০ ও ইরাকে আড়াই হাজার সৈন্য মোতায়েন করা হয়। এই সৈন্যরা এখনও দেশ দুটিতে অবস্থান করছেন। মার্কিন সামরিক বাহিনী প্রায়ই সিরিয়া এবং ইরাকে আইএস জঙ্গিদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে আসছে।
সূত্র: এএফপি
খুলনা গেজেট/এএজে