শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের হাতছানি বাংলাদেশের সামনে। সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে আজ (শনিবার) মুখোমুখি হয়েছে দু’দল। আগের দুই ম্যাচের মতো এদিনও টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্বাগতিক অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ধারণা করা হয়েছিল— দিনে ম্যাচ হওয়ায় আজ টাইগাররা আগে ব্যাটিং নিতে চাইবে, তবে বাংলাদেশ দলপতি সিদ্ধান্তে চমক দিয়েছেন।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বিকেল ৩টায়। এই ম্যাচেও আগের দুই টি-টোয়েন্টির একাদশ নিয়ে খেলবে বাংলাদেশ। অন্যদিকে লঙ্কান একাদশে নিশ্চিত পরিবর্তনের সম্ভাবনা আগেই জানা ছিল। তারা একাদশে দুটি পরিবর্তন এনেছে। ইনজুরিতে ছিটকে যাওয়া মাথিশা পাথিরানার জায়গায় নেওয়া হয়েছে পেসার নুয়ান থুসারাকে। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে এই ম্যাচ দিয়ে ফেরা ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে জায়গা করে দিতে বসানো হয়েছে পেসার দিলশান মাদুশঙ্কাকে।
এর আগে টি-টোয়েন্টিতে লঙ্কানদের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের ইতিহাস নেই বাংলাদেশের। একইসঙ্গে এবার প্রথম তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা। অতীতে দুই দলের মুখোমুখি হওয়া তিনটি সিরিজ এক বা দুই ম্যাচের ছিল। ২০১৩ সালে ঘরের মাঠে একমাত্র টি-টোয়েন্টিতে ১৭ রানে হেরে যায় বাংলাদেশ। ২০১৪ সালেও ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। ২ রান এবং ৩ উইকেটে যথাক্রমে দুটি ম্যাচে জয় পায় লঙ্কানরা।
২০১৮ সালে আবারও ঘরের মাঠে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে শ্রীলঙ্কাকে আতিথেয়তা দেয় বাংলাদেশ। ৬ উইকেট এবং ৭৫ রানে সিরিজের ওই দুই ম্যাচেও হেরে যায় টাইগাররা। এবার জয় দিয়ে শ্রীলঙ্কা সিরিজ শুরু করায় কিছুটা ব্যাকফুটে চলে যায় বাংলাদেশ। কারণ ২০২২ সাল থেকে কোনো টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারেনি টাইগাররা। এবারও সিরিজ জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী টাইগার হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।
বাংলাদেশের একাদশ : লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাওহীদ হৃদয়, জাকের আলী অনিক, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, শেখ মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও মুস্তাফিজুর রহমান।
শ্রীলঙ্কা একাদশ : আভিষ্কা ফার্নান্দো, কুশল মেন্ডিস (উইকেটরক্ষক), কামিন্দু মেন্ডিস, সাদিরা সামারাবিক্রমা, চারিথ আসালাঙ্কা, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা (অধিনায়ক), অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, দাসুন শানাকা, মাহিশ থিকশানা, নুয়ান থুসারা ও বিনুরা ফার্নান্দো।
খুলনা গেজেট/এনএম