মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সিরাজুল আলম খানের প্রথম জানাজা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (১০ জুন) সকাল ১০টায় এই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
সিরাজুল আলম খানের জানাজায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জনসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক প্রমুখ।
এসময় সিরাজুল আলম খানকে ‘স্বাধীনতার প্রাণ পুরুষ, নেপথ্যের নায়ক ও সফল স্বপ্ন দ্রষ্টা’ হিসেবে তুল ধরেন আ স ম আব্দুর রব।
শুক্রবার (৯ জুন) বেলা আড়াইটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয় (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।তিনি উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসে সংক্রমণসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন।
জানাজা শেষে বিভিন্ন ব্যক্তি এবং দলের পক্ষ থেকে মরহুমের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর মরদেহ মরহুমের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালির উদ্দেশ্যে নেয়া হয়েছে। সেখানে তাকে তার বাবা-মায়ের কবরের পাশে সমাহিত করা হবে বলে জানা গেছে।
দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ‘দাদাভাই’ হিসেবেও পরিচিত ছিলেন সিরাজুল আলম খান। ১৯৬১ সালে ছাত্রলীগের সহসাধারণ সম্পাদক হন সিরাজুল আলম খান। ১৯৬৩ সালে তিনি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭২ সালে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) গঠিত হয় তার উদ্যোগেই।
খুলনা গেজেট/এসজেড