কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে নির্ধারিত এলাকার বাইরে তেল বিক্রি করতে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের বাঘাবাড়ি এলাকার মেসার্স মারুফ এন্টারপ্রাইজের একটি তেলবাহী ট্রাক দৌলতপুরে আসায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। পাশাপাশি এধরণের কাজ পুনরায় সংঘটিত না করতেও নির্দেশ দেয়া হয়।
জরিমানার অর্থ নগদ আদায়ের পাশাপাশি ব্যবসায়ী নিয়ম ভঙ্গকরার দায়ে দৌলতপুর পুলিশকে স্থানীয় সেন্টার মোড়ের তেল ব্যবসায়ী মজনুর ব্যবসা কার্যক্রম তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়।
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে মাধ্যমে এই জরিমানা আদায় করা হয়।
৬ হাজার লিটার পেট্রোলবাহী যমুনা ওয়েল কোম্পানি লিমিটেডের মনোগ্রাম আঁকানো গাড়িটি তেল সরবারাহ করে থাকে এভাবেই। সরেজমিনে দেখা যায় একটি অগ্রহণযোগ্য কাগুজে টোকেন হাতে নিয়ে লাইসেন্স হীন চালক আর একজন সহযোগি বহন করছে এই তেল। তেল দিতে যাচ্ছেন দৌলতপুরের আঁখ সেন্টার মোড় এলাকার কয়েকজন ব্যবসায়ীকে।
দৌলতপুর উপজেলা পুলিশের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা এবং উপজেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্টরা অংশ নেন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পরিচালিত এই ভ্রাম্যমাণ আদালতে। উপজেলার প্রাগপুর-কুষ্টিয়া সড়কের তারাগুনিয়া থানার মোড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
অনিয়ম করে তেল বিক্রি করতে আসা তেলবাহী গাড়িটি স্থানীয়রা চিনতে পেরে আটকে রাখ। পরে পুলিশ-প্রশাসনকে খবর দেওয়া হলে ঘটনার সুরাহা হয়।
বাংলাদেশ ট্যাংক লরি ওনার্স এ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ জ্বালানী তেল পরিবেশক সমিতি, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স-ডিস্ট্রিবিউটরস- এজেন্টস এন্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের মতো নিবন্ধিত সংগঠন থেকে তেল বিক্রয়ের জন্য বিভিন্ন এলাকা ভিত্তিক নির্দিষ্ট এজেন্ট দেয়া আছে। এইসব এজেন্ট ব্যবসায়ীরা সকলেই পদ্মা-মেঘনা-যমুনার মতো তেল সরবারাহকারী কোম্পানির সাথেও সুনির্দিষ্ট এলাকায় বাজারজাত করতে চুক্তিবদ্ধ। এমন নিয়মকে সমর্থন জানিয়ে আইনও আছে দেশের এই খাত প্রসঙ্গে।
এ বিষয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছে দৌলতপুর উপজেলা প্রশাসন এবং বিভাগীয় বিস্ফোরক কর্মকর্তারা।