খুলনা, বাংলাদেশ | ১১ পৌষ, ১৪৩১ | ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  চট্টগ্রামে শাহ আমানত বিমানবন্দরে চোরাচালানের স্বর্ণ বহনের অভিযোগে যাত্রী আটক, বিমান জব্দ
গাবুরায় চলমান মেগা প্রকল্পের

সিমেন্ট চুরির ভিডিও ধারনের অভিযোগে যুবককে মারপিট

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বেড়িবাঁধ নির্মাণে চলমান মেগা প্রকল্পের সিমেন্ট চুরির ঘটনা গোপনে ভিডিও ধারনের অভিযোগে আশিকুর রহমান (২০) নামে এক শিক্ষার্থীকে মারপিটের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে আব্দুস সাত্তার ও তার ছেলে মিজানসহ সংঘবদ্ধ চোরচক্রের ১৫-১৬ জন সদস্য এ ঘটনা ঘটায়।

আশিকুর রহমান সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের ৯নং সোরা গ্রামের সিদ্দিক গাজীর ছেলে। সে উপজেলার সরকারি মহসীন কলেজের সম্মান প্রথম বর্ষের ছাত্র। ঘটনার পর তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

স্থানীয়রা জানায়, সম্প্রতি সাতক্ষীরা পাউবো’র তত্ত্ববধায়নে শ্যামনগরের গাবুরা ইউনিয়নে উপকূল রক্ষা বেড়িবাঁধ সুরক্ষার জন্য মেগা প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়নাধীন একটি প্রজেক্ট থেকে শতাধিক ব্যাগ সিমেন্ট চুরি হয়। ঈগল নামীয় একটি কোম্পানি হরিশখালী এলাকায় প্রায় আড়াই লাখ ব্লক তৈরির ওই কাজের দায়িত্বে রয়েছে। জনৈক আব্দুস সাত্তার ওই প্রজেক্টের নৈশপ্রহরী ও মিজান নামের একজন ‘কিউরিংমান’ হিসেবে দায়িত্বরত।

স্থানীয়রা আরও জানায়, মঙ্গলবার ও বুধবার আব্দুস সাত্তার ও মিজানসহ কয়েকজন মিলে শতাধিক ব্যাগ সিমেন্টে অন্যত্র সরিয়ে ফেলে। এসময় স্থানীয় কয়েকজন তরুণ গোপনে সেই চুরির দৃশ্যের ভিডিও ধারণ করে। একপর্যায়ে বুধবার সন্ধ্যার পর মোটর সাইকেলযোগে আশিক বাড়িতে যাওয়ার পথে উল্লেখিতরা তাকে রাস্তার মধ্যে আটকে বেপরোয়া মারপিট করে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন গ্রামবাসী অভিযোগ করেন, প্রজেক্টের ম্যানেজার হাবিবুর রহমান, আব্দুস সাত্তার ও তার সহযোগীদের সহায়তায় কাজের সাইড থেকে শত শত ব্যাগ সিমেন্ট বাইরে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে করে ব্লক তৈরীর সময় সিমেন্ট কম দেওয়ায় কাজের মান খারাপ হচ্ছে।

আশিকের পিতা সিদ্দিক গাজী জানান, তার ছেলে সিমেন্ট চুরির ঘটনার কোনো ভিডিও ধারণ করেনি। তারপরও সন্দেহের বশবর্তী হয়ে লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে তাকে মারাত্মক আহত করা হয়েছে।

অভিযুক্তদের প্রধান আব্দুস সাত্তার বলেন, কিছু সিমেন্ট নষ্ট হওয়ায় ম্যানেজার সেগুলো পানিতে ফেলে দিতে বলে। বাধ্য হয়ে অব্যবহৃত সিমেন্টগুলো স্থানীয়দের মাঝে বিলি করা হয়। সিমেন্ট চুরির কোন ঘটনা ঘটেনি।

প্রজেক্ট এক্সিকিটিভ ঈগলের ম্যানেজার হাবিবুর রহমান বলেন, কিছু সিমেন্ট নষ্ট হযেছে। তাই সেগুলো নদীতে ফেলে দিতে বলা হয়।

স্থানীয় গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম বলেন, বিষয়টি রাতে জানতে পেরেছেন। সিমেন্ট চুরির ঘটনা ভিডিও ধারণের অপরাধে মারপিটের বিষয়টি মেনে নেয়া হবে না। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!