কক্সবাজারের টেকনাফে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় গ্রেফতার আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্যের প্রত্যেককে ৭ দিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তামান্না ফারাহ তাদের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া এপিবিএন সদস্যরা হলেন- এপিবিএনের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শাহজাহান, কনস্টেবল রাজীব ও আব্দুল্লাহ। ৩১ জুলাই ঘটনার দিন এই তিনজনই এপিবিএনের চেকপোস্টে দায়িত্ব পালন করেছেন।
সোমবার রাত ১০টার দিকে তাদেরকে আটকের পর র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১৫ (র্যাব) এর কক্সবাজার কার্যালয়ে নেয়া হয়। সেখানে জিঞ্জাসাবাদের পর এ হত্যাকাণ্ডে তাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। পরে তাদের মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
সোমবার তাদেরকে আদালতে হাজির করে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিন করে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন জানানো হয়। আদালত ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
৩১ জুলাই ঈদুল আজহার আগের রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
ঘটনার পর পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় দুটি মামলা করে। আর রামু থানায় একটি মামলা করা হয়।
পরে ৫ আগস্ট কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস।
এতে ৯ জনকে আসামি করা হয়। আসামিরা হলেন- টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, টেকনাফের বাহারছড়া শামলাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের প্রত্যাহার হওয়া পরিদর্শক লিয়াকত আলী, এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, এএসআই লিটন মিয়া, পুলিশ কনস্টেবল সাফানুর রহমান, কামাল হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুন, মো. মোস্তফা ও এসআই টুটুল। এদের মধ্যে আসামি মোস্তফা ও টুটুল পলাতক।
এর মধ্যে রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া পুলিশের চার সদস্য এবং এ ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলার তিন সাক্ষীকে গত শুক্রবার থেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে র্যাব।
যাদের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে তারা হলেন- এএসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাফানুর রহমান, কামাল হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুন, পুলিশের দায়ের করা মামলার সাক্ষী মো. নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও মোহাম্মদ আয়াছ।
খুলনা গেজেট / এমএম