খুলনা, বাংলাদেশ | ৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২০ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর নিয়োগ নিয়ে ছাত্রদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
  ৭ দিনের জন্য আন্দোলন স্থগিত করেছেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা
  ইউনাইটেড হাসপাতালের চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
  ৪০তম ব্যাচের ক্যাডেট এসআইদের সমাপনী কুচকাওয়াজ স্থগিত

সিজারের সময় নাড়ি কর্তন, তিন ডাক্তারের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

যশোরে প্রসূতিকে সিজারের সময় মলদ্বারের নাড়ি কেটে ফেলার অভিযোগে এবার স্ক্যান হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের তিন ডাক্তারসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। মামলাটি করেছেন ভুক্তভোগী ওই নারীর বোন শহরের পশ্চিম বারান্দি নাথপাড়ার জুয়েল আহমেদের স্ত্রী তাহমিনা বেগম।

আসামিরা হলেন, স্ক্যান হসপিটালের ডাক্তার মাহফুজা মনি, অ্যাসিসট্যান্ট শুভ, ডাক্তার তুহিন ও ডাক্তার ওহিদুজ্জামান আজাদ। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলাম অভিযোগ আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। ভিকটিম নাজমা আক্তার মণিরামপুরের ফরিদ আহমেদের স্ত্রী।

মামলায় বাদী উল্লেখ করেছেন, তার বোন নাজমা বেগম গর্ভবতী ছিলেন। তার প্রসবের বেদনা উঠলে গত ৮ জানুয়ারি যশোর জেনারেল হাসপাতালের সামনে স্ক্যান হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করা হয়। এরপর উল্লেখিত ডাক্তাররা তাদেরকে জানায় রোগীর অবস্থা খুবই খারাপ, জরুরি অপারেশন করতে হবে। বাধ্য হয়ে অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় পরিবারের পক্ষ থেকে। ওইদিন রাত আটটায় অপারেশনের মাধ্যমে তার পুত্র সন্তানের জন্ম হয়।

পরে হাসপাতালের ১৩ নম্বর কেবিনে চিকিৎসা দিয়ে ১০ জানুয়ারি নাজমাকে রিলিজ দেয়া হয়। তাকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার পরদিন ১১ জানুয়ারি অপারেশনের স্থানে তীব্র যন্ত্রণা শুরু হয়। এরপর নাজমাকে আবার স্ক্যান হাসপাতালে ভর্তি করে পরিবারের লোকজন। সেখানে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত থেকেও অবস্থার উন্নতি হয়নি। একপর্যায়ে অপারেশনের সময় মলদ্বারের নাড়ি কাটা পড়েছে বলে আসামিরা স্বীকার করেন। এ কারণে যন্ত্রণা হচ্ছে বলে তারা জানান। তখন নাজমাকে দ্রুত খুলনার গাজী মেডিকেলে ভর্তি করা হয়।

একটানা ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সেখানে চিকিৎসা করিয়ে যশোরে আনা হয়। এরপর ফের অসুস্থ হন নাজমা। ১ মার্চ আবার তাকে খুলনার গাজী মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘদিন সেখানে ভর্তি রেখে চিকিৎসা করানোর পরও কোনো উন্নতি না হওয়ায় ২৮ মার্চ নাজমাকে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। কিন্তু সেখানেও উন্নতি না হওয়ায় ফের তাকে খুলনার ডাক্তার গাজী মিজানুরের কাছে আনা হয়েছে।

বাদী মামলায় উল্লেখ করেছেন, নাজমা এখন মৃত্যু পথযাত্রী। এ ঘটনায় বুধবার তার বোন তাহমিনা আদালতে মামলা দায়ের করেন।

উল্লেখ্য, এর আগে যশোরে ভুল চিকিৎসার অভিযোগে অসীম ডায়াগনস্টিকের তিন ডাক্তারের বিরুদ্ধে মামলা করেন রোগীর স্বজনরা।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!