গোডাউনের সামনে সিগারেটের প্যাকেট রেখে ভেতরে মজুত করে রাখা হয়েছে সয়াবিন তেল। একশ বা দুইশ লিটার নয়, ২ হাজার লিটার সয়াবিন তেল। তারপরও ক্রেতাদের বলা হচ্ছে সংকট চলছে, সরবরাহ কম, তেল নেই। এভাবেই বিক্রি না করে অবৈধভাবে মজুত করে বাড়ানো হচ্ছে ভোজ্যতেলের দাম।
রোববার (১ মে) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অভিযান চালিয়ে এমন প্রমাণ পায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
এসময় অবৈধভাবে ভোজ্যতেল মজুতের দায়ে বিসমিল্লাহ স্টোরকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া বেশি দামে তেল বিক্রিসহ ভোক্তার সঙ্গে প্রতারণার দায়ে আরোও দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, সহকারী পরিচালক ফাহমিনা আক্তার ও মো. মাগফুর রহমান।
মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, কয়েকদিন ধরে দেখছি খুচরা বাজারে তেলের দাম বাড়ছে। তেলের সরবরাহ কম তাই দাম বাড়ছে। আমরা খোঁজখবর নিয়ে জানলাম ভোজ্যতেলের মিলগুলো চাহিদা অনুযায়ী তেল সরবরাহ করছে। তাহলে তেল যাচ্ছে কোথায়। পরে কয়েকজন ব্যবসায়ীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আজ কারওয়ান বাজারের দোতালা মার্কেটে অভিযান পরিচালনা করি। এসময় দেখি বিসমিল্লাহ স্টোর নামের প্রতিষ্ঠানটির গোডাউনের সামনে সিগারেটের প্যাকেট রেখে পেছনে তেল মজুত করে রেখেছে। অথচ তারা ক্রেতাদের বলছে তাদের গোডাউনে তেল নেই সরবরাহ কম। এই বলে তারা অবৈধভাবে মজুত করছে। এই অপরাধে প্রতিষ্ঠানটিকে আমরা দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছি।
এছাড়াও সিদ্দিক এন্টারপ্রাইজ নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠান বেশি দামে তেল বিক্রি করায় তাদেরকে ১০ হাজার টাকা এবং বেশি দামে মুরগি বিক্রি করায় আরেকটি দোকানকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অবৈধভাবে তেল মজুতের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চলমান থাকবে বলে জানান ভোক্তা অধিদপ্তরের এ কর্মকর্তারা।