সাতক্ষীরায় সিগন্যাল ভঙ্গ করে পুলিশকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় প্রাইভেটকারসহ দুই ব্যক্তিকে আটক করে একজনকে এক মাস এবং অপরজনকে ৭দিনের কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী উপজেলার চাঁদপুর এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে তাদের এই সাজা প্রদান করেন।
সাজাপ্রাপ্ত হলেন, সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার খলিশাখালী লাগোয়া নোড়ারচক-চারকুনি গ্রামের কালাম সরদারের ছেলে আনারুল ইসলাম (৪০) ও একই গ্রামের মৃত আকরাম গাজীর ছেলে মোজাহিদ হোসেন (২৮)।
পুলিশ জানায়, বুধবার বেলা ১২টার দিকে দেবহাটা উপজেলার চাঁদপুর এলাকায় চলমান ভ্রাম্যমাণ আদালতের সিগন্যাল ভেঙ্গে সুজিত বিশ্বাস নামে এক পুলিশ অফিসারকে ধাক্কা দিয়ে দ্রুত গতিতে পালানোর সময় পাল্টা ধাওয়া করে হাদিপুর এলাকা থেকে একটি প্রাইভেটকারসহ আনারুল ইসলাম ও মোজাহিদ হোসেনকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদেরকে দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী’র ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করা হলে বিচারক দুইজনকে দোষী সাব্যস্ত করে আনারুলকে ১ মাসের এবং মোজাহিদ গাজীকে ৭ দিনের কারাদন্ড প্রদান করেন।
দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী বলেন, বুধবার বেলা ১২টার দিকে করোনা মোকাবেলায় গণপরিবহন ও যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি ও মাস্ক বাধ্যতামূলক করতে উপজেলার চাঁদপুর এলাকায় সড়কে মোবাইল কোর্টের অভিযান চলছিল। এসময় ঢাকা মেট্রো ক-০৩৩৩০৮ নাম্বারের একটি সাদা রংয়ের প্রাইভেটকারসহ তাতে থাকা চালক ও আরোহীদের মুখে মাস্ক না থাকায় তাদের গতিরোধের সিগন্যাল দেয়া হয়। এসময় সিগন্যাল ভেঙ্গে সেখানে দায়িত্বরত দেবহাটা থানার এসআই সুজিত বিশ্বাসকে ধাক্কা দিয়ে প্রাইভেটকারটির চালক ও আরোহীরা দ্রুত গতিতে কালীগঞ্জ অভিমুখে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে ধাওয়া করে হাদিপুর এলাকা থেকে প্রাইভেটকারসহ তাদের দু’জনকে আটক করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে আটক আনারুলকে ১ মাসের এবং মোজাহিদ গাজীকে ৭ দিনের কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। একই সাথে মালিকানা ও রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত কাগজপত্র যাচাই বাছাই না হওয়ায় আটক প্রাইভেটকারটি থানা পুলিশের জিম্মায় রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।