যশোরের বিদায়ী পুলিশ সুপার (পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি) প্রলয় কুমার জোয়ারদার বলেছেন, তিনি এ জেলায় ৩ বছর ৫ মাস দায়িত্বপালনকালে সাহসিকতা, সততা ও পেশাদারিত্বের সাথে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখতে কাজ করে গেছেন। যার সুফল যশোরবাসী পেয়েছেন। এসময়ে জেলাবাসী সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজমুক্ত পরিবেশে বসবাস করতে পেরেছেন।
তিনি বলেন, জনগনের ট্যাক্সের টাকায় পুলিশের বেতন ভাতা হয়। তাহলে পুলিশ কেন অন্যায় করবে মানুষের উপর। তাদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া পুলিশের পেশাগত দায়িত্ব। তাই সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদক ও অস্ত্রবাজ অপরাধীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
বিদায়ী পুলিশ সুপার বলেন, সাংবাদিকদের তথ্যগত সহযোগিতা নিয়ে তড়িৎ অ্যাকশন নিয়েছেন ও চাঁদাবাজদের পাকড়াও করেছেন। যার ফলে যশোরে বাড়ি নির্মাণের সময় চাঁদাবাজদের উৎপাত রোধ হয়েছে। যশোরে এখন সরব চাঁদাবাজ নেই বললেও চলে। তিনি অপরাধী বা অপরাধ দেখেছেন, দল বা ব্যক্তি নয়। আপোষহীন থেকে শক্তভাবে সন্ত্রাস মোকাবেলা করার চেষ্টা করেছেন সাংবাদিকদের সহযোগিতা নিয়েই। এসময় তিনি যশোরের সাংবাদিকদের তথ্যগত ও পেশাগত সহায়তা পেয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, মূলত পেশা আলাদা হলেও পুলিশ সাংবাদিকদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য মূলত একটাই। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে সংবাদিকরা তাকে যথেষ্ট সহযোগিতা করেছেন বলে তিনি জানান।
বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে যশোর পুলিশ সুপারের কনফারেন্স রুমে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন বিদায়ী পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার।
তিনি আরো বলেন, যশোরের অনেক স্পটে নানা অপরাধমুলক কর্মকান্ড চলত। বিশেষ করে মাদক, কিশোর গ্যাং, চাকু সন্ত্রাসে অতিষ্ট ছিল সাধারণ মানুষ। তাদের রুখতে কাজ করেছেন তিনি। যশোর জেলা পুলিশে কর্মরত ২৪শ’ পুলিশ সদস্যকে তিনি সততা সাহসিকতা ও পেশাদারিত্ব বজায় রেখে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দিয়েছেন সব সময়।
পুলিশ সুপার বলেন, যশোরের সাংবাদিকরাও পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছেন। তার জ্ঞানত অন্যায় ও অপরাধের সাথে আপোষ করেননি। সঠিক কাজ না করলে পত্রিকায় পুলিশের নেতিবাচক কোনো তথ্য উঠে আসতে পারে, এ কারণে পুলিশ সদস্যরা সতর্ক ও সজাগ থেকে দায়িত্ব পালন করেছেন। যে কারণে সাংবাদিকদের সাথে তার বা জেলা পুলিশের দুরত্ব কখনও তৈরি হয়নি। বৈপরীত্ব পরিবেশও তৈরি হয়নি কখনও। তিনি যশোরের সাংবাদিকদের সাথে যোগাযোগ রাখবেন ও মনে রাখবেন বলে তার জন্য দোয়া চান। এছাড়া, যশোরে নতুন পুলিশ সুপার যিনি আসছেন, তিনি তার মত করেই আইনশৃঙ্খলা সমুন্নত রাখবেন ও সাংবাদিকদের সাথেও ভাল সম্পর্ক গড়ে তুলবেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি একরাম-উদ-দ্দৌলা, দৈনিক গ্রামের কাগজ সম্পাদক মবিনুল ইসলাম মবিন, প্রেসকাব¬ যশোরের সাধারণ সম্পাদক এসএম তৌহিদুর রহমান ও যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মনোতোষ বসু প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/এএজে