আচ্ছা, সালমান শাহ যেখানে আছেন, সেখান থেকে কি ভক্তদের ভালোবাসা টের পান? তিনি নেই ২৪ বছর, এত দীর্ঘ সময় পরও তাঁর জন্য বিচার চেয়ে প্রেসক্লাবের সামনে ভক্তরা প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে থাকে, তাঁর জন্য দেশজুড়ে এত আয়োজন হয়; এই দৃশ্যগুলো দেখতে তাঁর কেমন লাগে? বুক ফুলে ওঠে নিশ্চয়ই! সুযোগ থাকলে জানতে চাওয়া যেত। এটাও জানতে চাওয়া যেত, ঢাকাই সিনেমার হালহকিকত সম্পর্কে।
তবে এসব জানতে চাওয়ার সুযোগ আর নেই তাঁর কাছে। শুধু সুযোগ আছে সেপ্টেম্বরের দু’দিন তাঁকে স্মরণ করার। সেই দু’দিনের একটি দিন আজ, ১৯ সেপ্টেম্বর। এদিন পৃথিবীতে এসেছিলেন ‘স্বপ্নের নায়ক’। বেঁচে থাকলে আজ ৪৯ বছরে পা রাখতেন। বেঁচে থাকলে হয়তো এই করোনাকালেও আয়োজন থাকতো ইস্কাটনের বাসায়, এফডিসিসহ দেশজুড়ে।
তবে ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর এই ‘হয়তো’ শব্দটা ভবিষ্যতের সঙ্গে যুক্ত করে ‘স্বপ্নের পৃথিবী’ থেকে বিদায় নিয়েছেন ঢাকাই সিনেমায় ইতিহাস সৃষ্টি করা এই নায়ক।
সালমান শাহ ১৯৭১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সিলেটের জকিগঞ্জে জন্ম নেন। তাঁর পারিবারিক নাম শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন হলেও সিনেমার পর্দায় তিনি ছিলেন শুধুই সালমান শাহ। বাবা কমর উদ্দিন চৌধুরী ও মা নীলা চৌধুরীর বড় ছেলে শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন সালমান শাহ হয়েছিলেন ১৯৯৩ সালে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমায় অভিনয় করতে গিয়ে।
ঢাকাই সিনেমার নায়ক হওয়ার আগে সালমান শাহর ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল টেলিভিশন নাটক দিয়ে। তবে ১৯৯৩ সালে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমায় অভিনয়ের পর আর পেছনে তাকাতে হয়নি সালমান শাহকে। চার বছরের ক্যারিয়ারে মাত্র ২৭ সিনেমায় অভিনয় করে পেয়েছেন আকাশসমান জনপ্রিয়তা। উপহার দিয়ে গেছেন বাংলা সিনেমার এক সোনালি অধ্যায়।
খুলনা গেজেট/এআইএন