যশোর হাসপাতালে করোনার টিকা দিতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। এ সময় টিকা দিতে না পেরে অনেকে বাড়ি ফিরে গেছেন। আবার অনেকে সকাল থেকে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়েও টিকা নিতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। দেশব্যাপী সার্ভার সমস্যার কারণে যশোরে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে।
সূত্র জানায়, বুধবার সকাল ১০টার পর থেকে টিকাদান কার্যক্রমের নিবন্ধন ওয়েবসাইট ‘সুরক্ষায়’ প্রবেশ করতে পারছে না যশোর স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা। এ কারণে নতুন করে কেউ নিবন্ধন করতেও পারছেন না। আবার যারা নিবন্ধন করেছেন তাদের ডাটাও দেখা যাচ্ছে না। ফলে সমস্যার সৃষ্টি হয় টিকাদানের ক্ষেত্রে। হাসপাতালে যারা টিকা নিতে আসছেন তাদের ডাটা দেখতে পারছেন না স্বাস্থ্য কর্মীরা। এ কারণে তাদেরকে টিকা দিতে পারছিল না কর্মীরা। ফলে টিকাদান কেন্দ্রের লাইন দীর্ঘ হয়। এসময় গোটা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খায় কর্মীরা।
টিকাদান কেন্দ্রে রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবক মেহেদি হাসান বলেন, এদিন সকাল ১০টা থেকে সার্ভার বন্ধ ছিল। এ সমস্যার কারণে যাদের টিকা দেয়া হচ্ছে তাদের নাম নথিভুক্ত করা যাচ্ছে না। তবে দুপুর সাড়ে ১২ টা থেকে টিকা গ্রহণকারীরা প্রিন্ট করা যে কপি নিয়ে টিকা নিতে এসেছেন তার একটি অংশ তারা রেখে তাদের টিকা দেবার ব্যবস্থা করেছে। সার্ভার ঠিক হলে তাদের টিকা গ্রহণের তথ্য নথিভুক্ত করা হবে। যারা কোনো প্রিন্ট কপি নিয়ে যাননি, তারা টিকা নিতে পারছেন না বলে জানান এ স্বেচ্ছাসেবক।
টিকাদান কেন্দ্রে অপেক্ষারত শহিদুল ইসলাম জানান, তিনি সকাল ১০টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। আড়াই ঘণ্টা অপেক্ষা করেও টিকা নিতে পারেননি। পরে জানতে পেরেছেন সার্ভার সমস্যা কারণে টিকা প্রদান বন্ধ আছে। তার মতো একাধিক নারী ও পুরুষ এদিন টিকা নিতে সমস্যায় পড়েন।
এ বিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার আখতারুজ্জামান বলেন, সার্ভার বন্ধ থাকায় সকাল থেকে টিকা কার্যক্রম বন্ধ ছিল। তবে দুপুর সাড়ে ১২টায় এ সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। নিবন্ধনের কাগজ রেখে টিকাদান কার্যক্রম শুরু করা হয়। তিনি বলেন, এদিন যত সময় পর্যন্ত লাইনে মানুষ থাকবে, ততক্ষণ টিকা কার্যক্রম চলবে।
যশোরের সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন বলেন, সার্ভার সমস্যার কারণে হাসপাতালে ম্যানুয়ালি টিকা দেয়া হচ্ছে। এ সমস্যার সমাধান হলে ডাটা এন্ট্রি করা হবে। এনিয়ে মানুষ কিছুটা বেগ পেলেও পরবর্তীতে সমাধান করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ টি আই