বাগেরহাটের মোল্লাহাটে পানের বরাজের পাশ থেকে পলিথিন ও সার্জিক্যাল টেপ হাত-পা ও মুখ বাধা অবস্থায় সাড়ে তিন বছর বয়সী শিশু মোঃ আহসান বিশ্বাস মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।শনিবার (০৬ এপ্রিল) দুপুরে মোল্লাহাট উপজেলার চরকচুরিয়া গ্রামের দাউদের বরাজের পাশের একটি গর্ত থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণা বলাৎকারের পরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে শিশুটিকে। পরিবারের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে এই শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার পূর্বক ফাসির দাবি জানিয়েছেন স্বজনরা।
হত্যার শিকার শিশু মোঃ আহসান বিশ্বাস নড়াইল জেলার নড়াগাতি উপজেলার চরশুকতাইইল গ্রামের কামরুজ্জামান বিশ্বাসের ছেলে। সে মায়ের সাথে মোল্লাহাট উপজেলার চরকচুরিয়া গ্রামে নানা ফিরোজ আহমেদের বাড়িতে থাকত।
শুক্রবার (০৬ এপ্রিল)বিকেলে নানা বাড়িতে প্রতিবেশির বাড়িতে আম কুড়াতে গিয়ে নিখোজ হয় শিশুটি। রাতে তার বাবা মোল্লাহাট থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন। রাতেই পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করে। না পাওয়ায় সকালেও চলে অভিযান। অবশেষে শনিবার (০৬ এপ্রিল) দুপুরের দিকে বরাজ মালিক দাউদ শিশুটিকে বরাজের পাশে একটি গর্তের মধ্যে সুপারির পাতা দিয়ে ঢাকা দেখতে পায়। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের পূর্ব শত্রুতার কারণে হত্যাকান্ড ঘটেছে বলে দাবি শিশুটির নানা ফিরোজ আহমেদ।
তিনি বলেন, প্রতিবেশী দোলন শেখ, নুরুল ইসলাম শেখ, আবুল ও বাবুল পরিকল্পিতভাবে আমার নাতীকে হত্যা করেছে। তারা বিভিন্ন সময় আমাকে হুমকীও দিত। আমি এই হত্যাকারীদের বিচার চাই।
এদিকে এক মাত্র ছেলে সন্তানকে হারিয়ে বার বার মুর্ছা যাচ্ছেন মা হুমায়রা বেগম। জ্ঞান ফিরলেই ছেলের হত্যাকারীদের ফাসি চেয়ে বিলাপ করছেন। স্বজনদের শত আশ্বাসেও শান্ত হচ্ছেনা মায়ের মন। মা হুমায়রা বেগম বলেন, আমার ছেলেকে যারা হত্যা করেছে, আমি তাদের ফাসি চাই। আর কিছু চাই না।
মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম আশরাফুল আলম বলেন, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শিশুটিকে বলাৎকারের পরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। পারিবারিক ও সামাজিক অবক্ষয়ের কারণে এই হত্যাকান্ড ঘটতে পারে। হত্যার সাথে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছ।খুব দ্রুত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।
খুলনা গেজেট/কেডি