নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে সার্চ কমিটির কাছে নামের তালিকা জমা দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার পর সচিবালয়ে দলটির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ নামের তালিকা জমা দেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান।
আওয়ামী লীগের নেতারা এর আগে বলেছিলেন, বিতর্কমুক্ত ও দলীয় পরিচয় নেই এমন ব্যক্তিদের মধ্য থেকে ১০ জনের নামের তালিকা তৈরি করা হবে। নামের তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে ক্লিন ইমেজকে গুরুত্ব দেওয়া হবে।
এরআগে মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর যে সভা অনুষ্ঠিত হয়, সেখানে সার্চ কমিটির কাছে কাদের নাম দেওয়া হবে সে বিষয়ে আলোচনা হয়। সভাপতিমণ্ডলীর প্রত্যেক সদস্য ওই সভায় পাঁচজনের নাম প্রস্তাব করেন।
সভা সূত্রে জানা যায়, বেশিরভাগ নেতাই প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে পছন্দের তালিকায় রেখেছেন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমকে। তিনি বর্তমানে বিশ্ব ব্যাংকে প্রকল্প নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সেখানে তার চাকরির মেয়াদ নভেম্বর পর্যন্ত। অবশ্য নতুন দায়িত্ব পেলে বিশ্ব ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে আসতে কোনো বাধা নেই তার। শফিউল আলমকে ব্যক্তিগতভাবে পছন্দ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। তাই অনেকেই তার নাম তালিকায় রেখেছেন।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে নাম সুপারিশ করার শেষ দিন আজ। দলীয় ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে আজকের পর আর নাম প্রস্তাব করা যাবে না।
এদিকে এই সার্চ কমিটির অধিকাংশ সদস্যই আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে অভিযোগ করছে বিএনপি। এটিকে নতুন বোতলে পুরাতন মদ আখ্যায়িত করে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘গতবারও যেভাবে করেছে, ঠিক একইভাবে এবারও, শুধু খোলস লাগিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণার করার জন্য, যে দেখো আমরা সুন্দরভাবে করছি, সবার কাছ থেকে মতামত নিচ্ছি। তারপর শেষ পর্যন্ত দেখা যাবে যে হুদার (সাবেক নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদা) ইসি নিয়োগ করেছে। এ সার্চ কমিটির মধ্যেও বেশিরভাগ লোকই আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্কিত। একজন তো আওয়ামী লীগের মনোনয়নও চেয়েছিল।’
সার্চ কমিটির কাছে বিএনপি কারও নাম প্রস্তাব করবে না বলেও ৭ ফেব্রুয়ারি জানান মির্জা ফখরুল।
খুলনা গেজেট/এনএম