সারাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দীর্ঘদিনের বন্ধ থাকা বদলি প্রক্রিয়া ৭ দিনের মধ্যে চালু করতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তানিয়া আক্তারসহ শিক্ষকদের পক্ষে সোমবার (২৮ মার্চ) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া এ নোটিশ পাঠান।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক, উপ-পরিচালক (পলিসি), সব জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারসহ মোট ৭২ জনকে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকা বদলির জন্য ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বদলি নির্দেশিকা (সংশোধিত)-২০১৯’ প্রণয়ন করে। ওই নির্দেশিকার ধারা ১.১ এ সাধারণভাবে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের প্রতি শিক্ষা বছরের জানুয়ারি-মার্চ মাসে মধ্যে একই উপজেলা/থানা, আন্তঃউপজেলা/থানা, আন্তঃজেলা, আন্তঃবিভাগ ও যেকোনো উপজেলা/জেলা থেকে সিটি করপোরেশনে বদলি করার কথা উল্লেখ থাকলেও ২০১৯ সালের পর সারাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বদলি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সরাদেশের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। বিশেষ করে নারী শিক্ষিকারা দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। যদিও সরকারি অন্যান্য দপ্তরে যথারীতি বদলি কার্যক্রম চালু রয়েছে।
তাই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বদলি নির্দেশিকা (সংশোধিত)-২০১৯’ অনুযায়ী আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে বদলি কার্যক্রম চালু করার ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় হইকোর্টে রিট করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, বলে জানান তিনি।