বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি বাংলাদেশে সহিংসতা দেখতে চায় না। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর মুখপাত্র মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার গতকাল মঙ্গলবার রাতে ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
এদিকে গত মঙ্গলবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক ব্রিফিংয়ে ২৪ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী এক বাংলাদেশি আমেরিকান তাঁর মতো বাংলাদেশের পরিস্থিতি বর্ণনা করেন।
এরপর তিনি জানতে চান, এই পরিস্থিতি পরাশক্তি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য কী করতে পারে?
জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, ‘বাংলাদেশ পরিস্থিতির দিকে আমরা নিবিড়ভাবে দৃষ্টি রাখা অব্যাহত রেখেছে। আমরা শান্ত থাকার ও উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানাই।’ ম্যাথু মিলার বলেন, ‘আগের দিনও আমি বলেছিলাম। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের ওপর সহিংসতা বা সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারীদের সহিংসতা, অর্থাৎ যে সহিংসতার নিন্দা জানায় যুক্তরাষ্ট্র।
ম্যাথু মিলার আরো বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ জমায়েতকে সমর্থন করি। আমি শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকে সমর্থন করি। কিন্তু সব ক্ষেত্রেই প্রতিবাদগুলো শান্তিপূর্ণ হতে হবে এবং শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের ওপর সরকারের কোনো ধরনের সহিংসতা চালানো উচিত নয়।’
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ‘কিন্তু আমি বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বলতে চাই, বাংলাদেশজুড়ে চলমান টেলিযোগাযোগ বিঘ্নিত হওয়ার খবরেও আমরা অনেক উদ্বিগ্ন।
বাংলাদেশজুড়ে চলমান টেলিযোগাযোগ বিঘ্নিত হওয়ায় সেখানে আমেরিকান নাগরিকরাসহ বাংলাদেশের জনগণের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানার সুযোগ বিঘ্নিত হয়েছে।’
ম্যাথু মিলার বলেন, ‘অন্য দেশগুলোর ক্ষেত্রেও আমরা এগুলোর বিরুদ্ধে এভাবে বলেছি। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও আমরা বলেছি। আমরা আমাদের উদ্বেগের কথা জানিয়ে যাব।’
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে ম্যাথু মিলার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সব সময় গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের কথা বলে।
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধারণ করলে বিশ্বের রাষ্ট্রগুলো শক্তিশালী হয়ে ওঠে এ বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্টভাবে জানায়। যুক্তরাষ্ট্র এটি করে যাবে।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে ম্যাথু মিলার বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপীয় কোনো রাষ্ট্র যা করে তা কি বিশ্বের সব রাষ্ট্র করবে? কোনো পরিস্থিতি কিভাবে মোকাবেলা করতে হবে তা কি যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপীয় কোনো রাষ্ট্র কিংবা বিশ্বের অন্য দেশগুলো একভাবে ভাববে? অবশ্যই না। সার্বভৌম রাষ্ট্রগুলো তাদের নিজের সিদ্ধান্ত নিজেরাই নেয়। সব সময় তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত আছে। তারা সব সময় সেভাবেই করবে।’
খুলনা গেজেট/কেডি