খুলনা, বাংলাদেশ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  অ্যান্টিগা টেস্ট: তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ ২৬৯/৯, পিছিয়ে ১৮১ রানে

সামেক হাসপাতালে করোনা উপসর্গে আরও তিন জনের মৃত্যু

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

করোনা উপসর্গ নিয়ে মাত্র ৮ঘন্টার ব্যবধানে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সমাকে) হাসপাতালে এক নারীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১৬ জুন) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকাল ৫টা ৪০ মিনিটের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে তাদের মৃত্যু হয়। এনিয়ে গত ২৪ ঘন্টায় সামেক ও শহরের বুশরা হাসপাতালে করোনা উপসর্গে মোট ৭ জনের মৃত্যু হলো।

মৃত ব্যক্তিরা হলেন, সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপজেলার জয়নগর গ্রামের আব্দুর রহমান মোল্যার ছেলে ইয়াসিন আলী মোল্যা (৬৫), সাতক্ষীরা শহরের উত্তর কাটিয়া এলাকার মৃত হাজের আলীর ছেলে আবুল হোসেন (৬০) ও কলারোয়া উপজেলার শাহপুর গ্রামের নবির আলীর স্ত্রী মাফুজা খাতুন (৫৫)।

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ করোনা উপসর্গ নিয়ে গত ১৩ জুন বিকাল ৩টায় ৪৫ মিনিটে শ্যামনগর উপজেলার জয়নগর গ্রামের ইয়াসিন আলী মোল্যা সামেক হাসপাতালের ফ্লু কর্ণারে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (১৬ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তিনি মারা যান।

এদিকে একই ধরনের উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরার শহরের উত্তর কাটিয়া এলাকার আবুল হোসেন গত ১৫ জুন রাত ১১টা ২০ মিনিটের দিকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফ্লু কর্ণারে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (১৬ জুন) বিকাল ৫ টা ২৬ মিনিটের দিকে তার মৃত্যু হয়।

অপরদিকে একই ধরনের উপসর্গ নিয়ে গত ১৬ জুন বেলা ৩টার দিকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফ্লু কর্ণারে ভর্তি হন কলারোয়া উপজেলার শাহপুর শাহপুর গ্রামের নবির আলীর স্ত্রী মাফুজা খাতুন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দিন বিকাল ৫টা ৪০মিনিটের দিকে তার মৃত্যু হয়।

প্রসঙ্গতঃ মঙ্গলবার (১৫ জুন) ভোর রাত সাড়ে ৩টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টার মধ্যে বিভিন্ন সময়ে সামেক হাসপাতালে ৩জন ও শহরের ন্যাশনাল হাসপাতালে মারা যায় আরো একজন। এনিয়ে গত ২৪ ঘন্টায় সামেক ও শহরের বুশরা হাসপাতালে করোনা উপসর্গে মৃত্যুর সংখ্যা দাড়ালো ৭ জনে। এনিয়ে করোনা ভাইরাস উপসর্গে সাতক্ষীরা জেলায় ১৬ জুন পর্যন্ত মারা গেছে অন্ততঃ ২৫৫ জন। আর ভাইরাসটিতে আক্রন্ত হয়ে মারা গেছে ৫৫ জন।

অপরদিকে সাতক্ষীরায় গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরো ৮৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ সময় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাবে ১৮৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্তের হার ৪৭ দশমিক ৩১ শতাংশ।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক কুদরত-ই-খোদা এসব মৃত্যুর খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে মৃত ব্যক্তিদের মরদেহ দাফনের জন্য বলা হয়েছে।

খুলনা গেজেট/ টি আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!