নিজেদের প্রাইভেট প্রাকটিসে সময় কম দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের প্রতি বেশি নজর দিন। সামেক হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগীদের সেবার মান আরো বৃদ্ধি করতে হবে। কেননা জেলার ১৮ লক্ষ মানুষ এই হাসপাতালের দিকে তাকিয়ে আছে। এখান থেকে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা পেলে মানুষের চিকিৎসা নিতে দেশের বাইরে যাওয়ার প্রবনতা কমবে। সেবা প্রত্যাশীরা যেন কোন ভাবেই হয়রানির শিকার না হয়। হাসপাতালের সব ধরনের সুযোগ সুবিধা যাতে রোগীরা যথাযথভাবে পায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতাল’র সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হাসপাতালের স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থাপনা কমিটির মাসিক সমন্বয় সভায় চিকিৎস্যক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন, কমিটির সভাপতি সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. আশরাফুজ্জামান আশু।
সভায় এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. শীতল চৌধুরী, মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাঃ মো. রুহুল কুদ্দুস, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক মেজবাহুর রহমান, সহকারি পরিচালক অজয় কুমার সাহা, সামেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগি অধ্যাপক ডা. কাজী আরিফ আহমেদ, সাতক্ষীরা পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র কাজী ফিরোজ হাসান, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মীর আসাদুজ্জামান খান, জেলা সমাজ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সন্তোষ কুমার নাথ, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মো. ফরহাদ জামিল প্রমুখ।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরএমও ডা.সালমান হোসেন, ডেপুটি নার্সিং সুপারিন্টেনডেন্ট আরতি রানি বিশ্বাস, সাতক্ষীরা পৌর কাউন্সিলর কায়ছারুজ্জামান হিমেল, জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাহী সদস্য মো. কবিরুজ্জামান রুবেল, বিশিষ্ট ঠিকাদার মজনুর রহমান খোকা, সদর এমপির ব্যক্তিগত সহকারী শেখ নাঈম হাসান, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিসাব রক্ষক মো. মোস্তাজুল ইসলাম, মো. জাকির হোসেন, সহকারী হিসাব রক্ষক শেখ খায়রুল ইসলাম, উচ্চমান সহকারী শহিদ আনোয়ার, টেকনোলজিস্ট ইপিআই ও দায়িত্বপ্রাপ্ত ওয়ার্ড মাস্টার মো. ফারুক হাসান প্রমুখ। সভায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির আলোচ্য সূচির মধ্যে ছিল হাসপাতালের সামনে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, বিভিন্ন বিভাগে চিকিৎসক শূন্যতা ও জনবল সংকট প্রসংগে, ক্যান্টিন চালু, মোটরসাইকেল গ্যারেজসহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর আলোচনা হয়।