খুলনা, বাংলাদেশ | ৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  বিচার বিভাগকে ঘুষ ও দুর্নীতিমুক্ত করার চেষ্টা হচ্ছে : ড. ইউনূস
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৮ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১৩৮৯
  পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকেও আমরা ভারত থেকে ফেরত চাইব : প্রধান উপদেষ্টা

সামেক হাসপাতালের পরিচালকের অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা: শীতল চৌধুরীর বিরুদ্ধে ঔষধ ক্রয়ের ৭ কোটি টাকা আত্মসাতসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন করেছে জেলা ভূমিহীন সমিতি। জেলা ভূমিহীন সমিতির আয়োজনে রোববার (১০ মার্চ) বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

জেলা ভূমিহীন সমিতির সভাপতি মো. কওছার আলীর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ভূমিহীন সমিতির সহ-সভাপতি মফিজুর রহমান, শওকত আলী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ, নদী বন ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির সভাপতি আদিত্য মল্লিক, বাবলু হাসান, নারীনেত্রী নদী প্রমূখ।

বক্তারা বলেন, হাসপাতালের পরিচালক ডা: শীতল চৌধুরী সপ্তাহে মাত্র দুই দিন অফিস করেন। ঠিকমত অফিসে আসেন না। অথচ সরকারি আইন অনুযায়ী কোন সরকারি কর্মকর্তা বিনা ছুটিতে কর্মস্থল ছাড়তে পারবেন না। সে আইন তিনি মানেন না। পরিচালক ডা: শীতল চৌধুরী, অতিরিক্ত পরিচালক ডা: অজয় কুমার এবং ল্যাব ইনচার্জ সুব্রত কুমার দাস সিন্ডিকেট করে হাসপাতাল পরিচালনা পরিষদের সাথে যোগসাজস করে লুটপাট চালাচ্ছে। বর্তমানে হাসপাতালের স্টাফদের বেতন ছাড়াতে গেলেও টাকা দিতে হয়। ফলে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মানুষ।
বক্তারা আরো বলেন, পরিচালকের অনিয়মের কারণে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা একেবারে নাজুক হয়ে পড়েছে। অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, দুর্গন্ধে রোগীরা আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। প্যাথলজিস্ট সুব্রত কুমারের সহযোগিতায় হাসপাতালে রয়েছে বড় একটি সিন্ডিকেট। এছাড়া হাসপাতালের রোগীদের খাদ্যে বড়ধরনের অনিয়ম করেছে ঠিকাদারসহ তার সহযোগীরা। খাদ্যের মান নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে। গরুর মাংসের পরিবর্তে পোল্ট্রি, রুই মাছের পরিবর্তে তেলাপিয়া তাও আবার ছোট একটুকরো সরবরাহ করা হয়। মেডিকেলের ল্যাব, এক্সরে বিভাগ এবং কেবিন ভাড়া থেকে প্রতি সপ্তাহে মোটা অংকের টাকা পরিচালকের হাতে তুলে দিতে হয়। তা না দিলে বিভাগ পরিবর্তন করে দেওয়ার হুমকি ধামকিও প্রদর্শন করেন ডা: শীতল চৌধুরী।

এছাড়া হাসপাতালের ঔষধ কেনার জন্য বরাদ্দ হওয়া ৭ কোটি টাকার কোন ঔষধ না কিনে পুরো টাকা তিনি আত্মসাত করেছেন। এদিকে, গত ৭ মার্চ মেডিকেল হাসপাতালের অডিট কার্যক্রম শেষ হয়েছে। ঢাকা থেকে আগত উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা প্রায় ৪দিন ধরে অডিট কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন।

বক্তারা আরো বলেন, ঔষধ বিক্রির ৭ কোটি টাকা আত্মসাতসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ ধামাচাপা দিতে দুর্নীতিবাজ শীতল চৌধুরী ওই কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করতে সুন্দরবন ভ্রমনসহ জেলার নামীদামী হোটেলে ভুড়িভোজের মত আপ্যায়ন অব্যাহত রেখেছেন। বক্তারা অবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

খুলনা গেজেট/ এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!