‘শুধু মাত্র সার্টিফিকেট বা ভালো রেজাল্টের জন্য নয়, আমি পড়াশুনা করি জ্ঞান অর্জনের জন্য। আমি দেশটাকে অনেক ভালবাসি। দেশের জন্য অনেক কিছুই করতে ইচ্ছা করে। বড় হয়ে ডিফেন্সের (সামরিক বাহিনী) উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হতে চাই। তাহলে দেশের জন্য অনেক কিছুই করতে পারবো ইনশাআল্লাহ্।’ এমনভাবেই নিজের স্বপ্নের কথা ব্যক্ত করেছেন মেধাবী শিক্ষার্থী গাজী নাভিদ আহমদ।
এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে এ প্লাস পেয়েছে খুলনা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের মেধাবী এই শিক্ষার্থী। সার্টিফিকেটের জন্য নয়, জ্ঞান অর্জনের জন্যই মহামারী করোনার মধ্যেও রুটিন অনুযায়ী অধ্যাবসায়ী ছিল নাভিদ আহমদ। স্বদেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করতে সামরিক বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হতে চায় গাজী নাভিদ আহমদ।
বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) এসএসসি’র ফলাফল ঘোষণা পর গাজী নাভিদ আহমদ মহান আল্লাহ্’র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে পিতা-মাতা, বড় চাচা-চাচী ও শিক্ষকদের প্রতি অতল শ্রদ্ধা জানিয়েছে। আদরের ছোট বোন ফারাহ্ আহমদকে স্নেহশীষ জানাতে ভুলিনি। সেও নাভিদের পড়াশুনায় প্রচণ্ড অনুপ্রেরণা দেয়।
সুঠম ও সুদর্শন গাজী নাভিদ আহমদ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-পরিচালক গাজী আলাউদ্দিন আহমদ ও ডেপুটি রেজিষ্ট্রার নাহিদ পারভীনের একমাত্র পুত্র। আযমখান সরকারি কমার্স কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ জালাল উদ্দিন আহমদ তার বড় আব্বু (চাচা)। নাভিদকে আর্দশবান মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চান তিনিও। বড় আম্মু (চাচী) নগরীর হাজী আব্দুল মালেক ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজের সাবেক সহকারী অধ্যাপক হাসিনা নাহিদ তো নাভিদ আহমেদের রেজাল্ট শোনার পর রীতিমতো কেঁদে ফেলেছেন।
করোনা পরিস্থিতিতে হতাশ না হয়ে বাসায় রুটিন মাফিক প্লানিং (পরিকল্পনা) করে নিয়মিত পড়াশুনা করেছে নাভিদ আহমদ। পরীক্ষা হোক, না হোক এসব বিষয়ে কোন দুশ্চিন্তা ছিল না তার। জানতে হলে পড়তে হবে, এটাই ছিল তার সংকল্প। সাফল্যের এ ধারা অব্যাহত রাখতে সকলের দোয়া চেয়েছে গাজী নাভিদ আহমদ। আর একাধারে বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বৃহৎ কর্মক্ষেত্র সামলে গৃহস্থলির কাজকর্মের সাথে সন্তানদের লালন-পালনের ধকলের অসীম কষ্ট আজ আনন্দে পরিণত হয়েছে মা খুবি’র ডেপুটি রেজিষ্ট্রার নাহিদ পারভীনের।