ঢাকার সাভারে একটি অনুমোদনহীন সিলিন্ডার মজুত ও রিফিল কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (৪ মে) ভোর ৬টার দিকে আশুলিয়ার কাঠগড়া উত্তরপাড়া এলাকার মো. মিরাজের ভাড়া বাড়িতে সোহরাব ও রাজিবের কারখানা এই ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় রিফিল ব্যবসায়ী রাজীবসহ দুজন দগ্ধ হয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত আহত আরেকজনের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, এই কারখানায় বড় বড় সিলিন্ডার থেকে শুরু করে ছোট সিলিন্ডারে গ্যাস রিফিল করা হয়। বৃহস্পতিবার ভোরে হঠাৎ বিকট আওয়াজে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে। এসময় পুরো কারখানায় দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে। পরে ট্রিপল নাইনে কল করে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। আগুনে স্থানীয় একটি বাড়ির দুটি কক্ষ ও একটি দোকান পুড়ে যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিলিন্ডার ব্যবসায়ী বলেন, এই এলাকায় প্রায় ৭ থেকে ৮টি কলকারখানা রয়েছে। যেখানে বরফ, বালু ও পানি মিক্সার করে সিলিন্ডারে ভরে গ্যাস অর্ধেক রিফিল করা হয়। এটা মূলত ভোক্তাকে ঠকানোর কারখানা। প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই এই কারখানা চলে। প্রতি মাসে প্রশাসনকে একটা অ্যামাউন্টও দিতে হয়। আজ সোহরাবের কারখানায় বিস্ফোরণ হয়েছে। অদক্ষতার কারণে এই বিস্ফোরণ হতে পারে। এখানে লালন, করিম, বাদল, খোখনসহ বিভিন্ন রিফিল ব্যবসায়ী রয়েছে। তারা কোটি কোটি টাকার বালু আর পানি বিক্রি করেছে।
জিরাবো মডার্ণ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আহমেদুল কবির জানান, ভোরে খবর পেয়ে আমাদের ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। প্রায় আধাঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এখানে ২৫-৩০ ফুট দৈর্ঘ্যের সিলিন্ডার মজুতকৃত টিনশেড গোডাউনটি পুড়ে যায়। ৩০-৪০টি ডাবল ও সিঙ্গেল পার্টের সিলিন্ডার মজুদ ছিল গোডাউনটিতে। এর মধ্যে ৫-৬ টি সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়েছে। বৈদ্যুতিক সট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কোনো অনুমোদন ছাড়াই সিলিন্ডার মজুদ করে রিফিল করা হতো।
খুলনা গেজেট/ এস জেড